জামানত হারালেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই

  • নোয়াখালী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
জামানত হারালেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪ হাজার ৬১০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন তিনি।

গতকাল নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে উপজেলার ৭১টি কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী। নির্বাচনে ফলাফল বিশ্লেষণ করে কাদের ছোট ভাইয়ের জামানত হারানোর বিষয়টি জানা যায়।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধন করে নির্বাচন কমিশন, যাতে জামানতের অংক বাড়ানো হয়। চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়।

সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে, যা এতদিন ছিল এক অষ্টমাংশ।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল আনারস প্রতীকে ৪৮ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭৮ ভোট। ওবায়দুল কাদেরের ভাই শাহাদাত হোসেন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৬১০ ভোট। আর মোটরসাইকেল প্রতীকে ওমর আলী ১ হাজার ৪৮২ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, জামানত রক্ষার জন্য শাহাদাত হোসেনকে ন্যূনতম ১১ হাজার ২৮৪ ভোট পেতে হতো। তা না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ খোয়াতে হচ্ছে তাকে। একইভাবে মোটরসাইল প্রতীকের প্রার্থী ওমর আলীও জামানত খুঁইয়েছেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জামানত হারানোয় শাহাদাত হোসেন ও ওমর আলীর চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে রাখা ১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।

গতকাল সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। নির্বাচন শুরুর দুই ঘণ্টা পর অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মো. শাহদাত হোসেনসহ দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। অপরপ্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। একইসঙ্গে একই অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ফাতেমা বেগম ওরফে পারভীনও। ভোটগ্রহণ শুরুর দুই ঘণ্টার মাথায় ৭১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি দখল করে সিল মারার অভিযোগে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

সকাল ১০টায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বসুরহাট পৌরসভার বাড়ির পাশের উদয়ন প্রিক্যাডেট একাডেমি কেন্দ্রে ভোট বর্জনের প্রাথমিক ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে তিনজন দুপুর ১২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দফতরে গিয়ে লিখিতভাবে ভোট বর্জন ও পুনর্নির্বাচনের দাবিসংবলিত অভিযোগপত্র জমা দেন।

এমএস

Link copied!