ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাদাম তোলা, পরিস্কার করা, শুকানো ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ফলন ও দাম বেশি পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাঁসি। কৃষকের কাছে এ যেন মাটির নিচে লুকানো মুঠো ভরা সোনা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে নান্দাইলে ৯ হেক্টর জমিতে মাইঝচর, ঢাকা-১ জাতের বাদামের চাষ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
সরেজমিনে চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরকামট খালী, চরউত্তরবন্দ, চরকোমরভাঙ্গা ও চরভেলামারী চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেক কৃষক তাদের জমি থেকে বাদাম তোলছেন। কেউ আবার জমি থেকে বাদাম শুকিয়ে আটি করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষাণীরা বাড়ির উঠানে ও বারান্দায় কাচা বাদাম পরিস্কার ও শোকানোতে ব্যস্ত রয়েছেন।
কৃষক আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল মতিন, মুজিবুর,হাফিজুল ও আব্দুস সোবহানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাদাম চাষে খরচ কম লাভ বেশি। প্রতি কাঠা (১০ শতক) জমিতে বাদাম চাষে খরচ হয়েছে ১ হাজার টাকা। (১০ শতক জমিতে বাদাম হয়েছে ২ মনের উপরে। ৪ হাজার টাকা দরে বাদাম বিক্রি হয় ৮ হাজার টাকা।
চরকামট খালী গ্রামের কৃষক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ৩০ শতক জমিতে বাদামের চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। ৪ হাজার টাকা দরে ৫ মন বাদাম বিক্রি করতে পারবো ২০ হাজার টাকা।
কৃষক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘৪০ শতক জমিতে বাদাম চাষ করছি। ৬ হাজার টাকা খরচ হইছে। বাদাম পাইয়াম ৮ মন। এতে আমি ৩২ হাজার টাকার বাদাম বেচতারাম।’
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, নান্দাইলে ৯ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। তিনি বলেন, অনাবাদি জমি কীভাবে বাদাম চাষের আওতায় আনা যায় সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
এসআই
আপনার মতামত লিখুন :