সিরাজগঞ্জ: বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি থেকে জোর করে ধান কেটে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব সোহেলের বিরুদ্ধে।
৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কাটা ধান জমিতে রেখেই আহসান হাবীব সোহেলের লোকজন চলে যায়।
শুক্রবার (৭ জুন) রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের আন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বীর মুক্তিযোদ্ধার ওই জমিটি জবরদখলের উদ্দেশেই ধান কাটার চেষ্টা করা হয় বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
মিজানুর রহমান জুয়েল বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৯১ সালে আন্দ্রা গ্রামে আমার বাবা ৪১ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। ওই জমি খাজনা খারিজ দিয়ে ৩২ বছর ধরে আমরা ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবীব সোহেলসহ ৪-৭ জন ব্যক্তি আমাদের জমি দখলের জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নামে হওয়া জমির খারিজ বাতিলসহ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর মিসকেসও করেছেন। কিন্তু নামজারির ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার কথা থাকলেও প্রতিপক্ষরা ১২-১৩ বছর পর আপিল আবেদন করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আগের নামজারিটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেন।
এ অবস্থায় শুক্রবার সকালে হঠাৎ করেই তারা লোকজন নিয়ে আমাদের জমি থেকে ধান কেটে নিতে শুরু করে। পরে ৯৯৯ লাইনে ফোন দেওয়ার পর পুলিশের তৎপরতায় ধান কাটা বন্ধ করে চলে যায় তারা। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ব্যবস্থার দাবিও জানান তিনি।
অভিযুক্ত ধামাইনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব সোহেল উল্টো দাবি করেন, ওই জমিতে তারাই ধান রোপণ করেছিলেন। রোপণ করা ধান তার লোকজন কাটতে গিয়েছেন। পুলিশ আসার সঙ্গে সঙ্গে ধান কাটা বন্ধ করে আমাদের লোকজন সেখান থেকে চলে যায়। জমিটির বিষয় নিয়ে একাধিকবার বসার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হলেও তারা মূলত বসেনি।
তিনি আরও বলেন, কাগজ যার জমি তার। তাদের কাগজ ঠিক থাকলে তারা জমি পাবে আর আমাদের কাগজ ঠিক থাকলে আমরা জমি পাবো।
এ প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ধান কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :