কলাপাড়া: বর্তমান সময়ে এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম রাসেলস ভাইপার। ধীরে ধীরে এ বিষধর সাপ ছড়িয়ে পড়েছে কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বালিয়াতলী ইউনিয়ন, ধুলাসার ইউনিয়নে এ আতঙ্ক এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে, সাপ দেখলেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। ঘরের ভেতরে-বাইরে, ক্ষেত-খামারে সব জায়গায় সাপের বিচরণ। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে সাপের বাচ্চা আবার কোথাও পাওয়া যাচ্ছে বিষধর সাপ। বিষধর এ সাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে টেলিভিশন-পত্রিকা এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চালানো হচ্ছে জোরালো প্রচারণা। ফলে সাপ দেখলেই মেরে ফেলছে সাধারণ মানুষ।
গত দুই-তিন দিনে বনবিভাগ, অ্যানিমেল লাভার্সের তথ্য মতে ৫ টি সপ উদ্ধার করছে। এবং স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তারা মেরে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে আনুমানিক পাঁচ থেকে সাতটা।এই রাসেলস ভাইপারের সাপের দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুট, তিন ফুট, দুই ফুট এমনকি বাচ্চাও রয়েছেন। স্থানীয়রা ৩৩৩ জরুরি কল সেন্টারে ফোন দিলে সাপ উদ্ধরের সহযোগীতা চেয়েছে। এই ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চলের গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছোট বড় যেকোনো প্রজাতির সাপ দেখলেই মারা হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে। বর্ষাকাল হওয়ায় এসব এলাকার খাল, বিল সব জায়গায় পানিতে দেখা মিলছে সাপের,ভয়ে কৃষি খেতে কাজ করতে যাচ্ছেনা কৃষকরা। এখন প্রযন্ত ধুলাসার ইউনিয়নের বৌলতলী গ্রাম,নলাপাড়া গ্রাম, ধোলাই মার্কেট আশ্রয়ন,এই দুই ইউনিয়নে অন্যান্য গ্রামেও বিষধর সাপ মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া জোয়ারের পানিতেও লোকালয়ে ভেসে আসছে অনেক সাপ। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ না চিনেই রাসেল ভাইপার মনে করে তাৎক্ষণিক পিটিয়ে মারছে অন্য প্রজাতির সাপ।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী বলেন, রাসেলস ভাইপার সন্দেহে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ মারলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। সাপ না মেরে বন বিভাগ বা সাপ উদ্ধার করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে জানালে তারা উদ্ধার করে নিয়ে যাবে।
ইউপি সদস্য কুলসুম বলেন, আমার নির্বাচনের এলাকাগুলোর মানুষের কাছে খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, শেষে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যু সাপ উদ্ধার করি। এছাড়াও কাউয়ার আশ্রয়নে সাপ দেখে আমরা চিহ্নিত করি এটাই রাসেলস ভাইপার।এই সাপের ভয় আশ্রয়নের মানুষ ঘর থেকে নামতেছে না, কৃষি খেতে কাজে যাচ্ছে না। পুরো এলাকা আতঙ্কিত রয়েছে।
অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কুয়াকাটার টিম লিডার, কে এম বাচ্চু জানান, আমরা এই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে বিষধর সাপের খবর পাই,তবে বেশিরভাগ সপ স্থানীয়রা মেরে ফেলছে, এবং রাসেলস ভাইপার ভেবে অন্য জাতের সাপও মেরে ফেলছেন, এখন পর্যন্ত আমরা জীবিত ও মৃত পাঁচটির মতো শপ উদ্ধার করেছি।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ফোন পেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা উভয় ঘটনাস্থলে আমাদের সদস্য পাঠিয়ে থাকি। অ্যানিমেল লাভার্সের সহযোগীয় এই সাপ উদ্ধার করে নি,এবং এলাকার মানুষদের সচেতন করে আসি। রাসেলস ভাইপার সাপটি অঞ্চলে দেখা মিলেছে আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে, যাতে সাপের কামড়ে আহত না হয় এমন সচেতনতা থাকার আহ্বান জানাই। এমনকি সাপে কামড় দিলে ওজার কাছে না গিয়ে, সাথে সাথে কলাপাড়া হসপিটালে নেয়ার নির্দেশ দি।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :