সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ১৯ জনকে নোটিশ ছাড়াই চাকুরিচ্যুত

  • খুলনা ব্যুরো  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ১৯ জনকে নোটিশ ছাড়াই চাকুরিচ্যুত

খুলনা: রেলীগেট মানিকতলায় সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ১৯ জনকে কোনো ধরনের নোটিশ বা অবহিতরণ ছাড়াই চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। 

সোমবার সকালে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী অফিসে আসলে তাদেরকে অফিস থেকে বের হরে দেয়া হয়। এ নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে অবরুদ্ধ করে ওই ১৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

জানা গেছে, রোববার ঐ ক্লিনিকের বিভিন্ন পদে কর্মরত ১৯ জনকে কোনো নোটিশ ছাড়াই ১লা জুলাই সোমবার থেকে অফিসে না আসার জন্য মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়। কিন্তু উক্ত কর্মচারি কর্মকর্তারা গতকাল সোমবার কর্মস্থলে হাজির হলে তাদেরকে চাকরি নেই বলে বের করে দেয়া হয়। 

এ খবর মুহূর্তের মধ্যে এলাকা বাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সংঞ্চার হয় এবং তারা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার সঙ্গীও ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ সময় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সকলকে শান্ত করেন এবং খুলনায় অবস্থানরত ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি অমল সাহার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়।

ভুক্তভোগী কর্মচারী সাহিদা পারভিন বলেন, আমি দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে এখানে কর্মরত ছিলাম। এখন এই বৃদ্ধ বয়সে কোথায় যাবো। আমার অসুস্থ স্বামী একজন্য মুক্তিযোদ্ধা। তার প্রতিদিন ২ হাজার টাকার ওষুধ লাগে।

দিতিয়া সরকার নামের অন্য এক কর্মচারী বলেন, আমি মানিকতলায় সূর্যের হাসি ক্লিনিকে মেডিকেল এসিট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলাম। এখানে চাকরির প্রথম দিন থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেয়ে হকারদের মত শিশুদের পোষাক বিক্রি করেছি। যখন যা বলেছে তাই করেছি। আর আজ এসেই বলে চাকরি নেই। আমরা কোথায় যাবো। এই প্রতিষ্ঠানের একটি চক্র কয়েকমাস ধরে খুলনা বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারিদেরকে বিনা কারণে ছাটাই করছে। কেন করছে, তার কোনো কারণ তাদের কাছে নেই।

তবে চাকুরিচ্যুত ঐ ১৯ জনের সকলেই অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানের যে অজুহাতে তাদেরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তারা তাদের পছন্দমত লোকদেরকে চাকরিতে বহাল রাখতে ও নিয়োগ দেবার একটা কৌশল অবলম্বন করেছে।
সূর্যের হাসি ক্লিনিকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম (অপারেশন) কর্ণেল মোহাম্মদ ইফতেখারুল হক (অব:) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এসব চাকরিজীবীদের যে কাউকেই যেকোনো সময় এক মাসের নোটিসেই অব্যাহতি দেয়ার নিয়ম রয়েছে। 

সেক্ষেত্রে এক বা দু মাসের বেতনের বেসিক হিসেবে দেয়ারও বিধান আছে। তাই তাদেরকে শুধুমাত্র এক মাসের বেসিক সেলারি দেয়ার কথা থাকলেও যেহেতু কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি তাই মানবিক কারণে এক মাসের বেসিক সেলারির পরিবর্তে তাদেরকে দু মাসের বেসিক সেলারি প্রদান করা হবে।

এআর

Link copied!