চাঁদা তোলা হাতির আছাড়ে ঔষধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু

  • নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৪, ১০:৪১ এএম
চাঁদা তোলা হাতির আছাড়ে ঔষধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু

নান্দাইল: চাঁদা তোলা হাতির আছাড়ে মো. মাসুদুর রহমান মিস্টন (৪৫) নামে এক ঔষধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এর আগে সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নগুয়া বাসস্ট্যান্ডে নিজের মালিকানাধীন ফার্মেসিতে তিনি হাতির আক্রমণের শিকার হন।

মো.মাসুদুর রহমান মিস্টন (৪৫) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। 

কাজের সূত্রে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নগুয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সসংলগ্ন এলাকায় বাস করতেন। তিনি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে বিক্রয় ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন।

এ ঘটনায় হাতিসহ মাহুত মো. রিয়াজ মোল্লাকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। তিনি গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন ফৌয়াডাঙ্গা মুন্সিপাড়ার মৃত হাসমত আলী মোল্লার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের নগুয়া বাসস্ট্যান্ডে নিজের মালিকানাধীন ফার্মেসিতে মাসুদুর রহমান বসেছিলেন। এ সময় একটি হাতি তাঁর ফার্মেসিতে গিয়ে টাকার জন্য শুঁড় এগিয়ে দেয়। তখন মাসুদুর হাতিটিকে ১০ টাকার নোট দেন।

টাকা পেয়ে হাতিটি সামনে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর চাঁদা তোলা নিয়ে এক দোকানির সঙ্গে মাহুতের বিতণ্ডা হয়। এ সময় শোরগোল তৈরি হলে মো. মাসুদুর রহমান মিস্টন ফার্মেসি থেকে বের হলে ক্ষিপ্ত হয়ে হাতিটি শুঁড় দিয়ে তাঁকে তুলে এনে ফার্মেসির সামনে আছাড় মারে। এতে পাকা সড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান মো. মাসুদুর রহমান মিস্টন।

স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পেলে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএস

Link copied!