পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, ঘোড়ার সাথে খেলা করছে অশ্বারোহী

  • জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, ঘোড়ার সাথে খেলা করছে অশ্বারোহী

ছবি: সোনালীনিউজ

কলাপাড়া: কোটা সংস্কার আন্দোলনে বড় ধাক্কা পর্যটন খাতে, পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এতে বেকার হয়ে পড়েছে ১৬ পেশার পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমজীবী মানুষ। ঘোড়ার সাথে খেলা করে অবসর সময় কাটাচ্ছে অশ্বারোহীরা। সমুদ্রের পাড়ে পর্যটকদের আসার অপেক্ষায় সময় গুনছেন ফটোগ্রাফার, ছাতা-বেঞ্চ, অটো রিক্সা চালক, টুরিস্ট বোর্ড, ওয়াটার বাস, স্পিড বোট, ট্যুর গাইডসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ, দোকান খুলে বসে থাকলেও ক্রেতা নেই দোকানিদের।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সৈকতের জিরো পয়েন্ট, চৌরাস্তা, গঙ্গামতি, লেম্বুরবন, ইলিশ পার্ক, শুঁটকি মার্কেট, ব্লক পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, পর্যটকশূন্য প্রতিটি স্পট। জিরো পয়েন্ট এলাকায় দেখা যায়, বেশ কয়েকজন দোকান খোলা রেখে রাস্তায় ক্রিকেট খেলছেন। ঘোড়া নিয়ে সমুদ্র সৈকতে খেলা করছে অশ্বারোহীরা। ১৮ কিলোমিটারের সমুদ্র সৈকতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটক, যার বেশিরভাগই পার্শ্ববর্তী উপজেলার।

ছবি: সোনালীনিউজ

বিভিন্ন পেশার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অস্থিতিশীল এ পরিবেশে কুয়াকাটায় পর্যটক আসছে না। গত কয়েকদিনে একেবারে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ায় বেকার সময় পার করছেন তারা। হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, শুক্রবার, শনিবার সপ্তাহে দুইদিন পর্যটকে ভরপুর থাকে হোটেল-মোটেল। তবে এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন। লোকসান যেন পিছু ছাড়ছে না পর্যটন ব্যবসায়ীদের। গত দু’মাসে ঘূর্ণিঝড়সহ কোটা সংস্কার আন্দোলন, সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছে কুয়াকাটা হোটেল ব্যবসায়ীরা। 

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, দেশের পরিস্থিতির সঙ্গে কুয়াকাটার সার্বিক বিষয় সবসময় সম্পর্কিত। বড় ধাক্কা লেগে গেল পর্যটন খাতে। বর্তমানে পর্যটক শূন্যের কোঠায়। মৌসুমের শুরুতে সব পর্যটন ব্যবসায়ী তাদের মোটা অংকের একটি বিনিয়োগ নিয়ে বসে কিন্তু এখনতো তাদের মাথায় হাত। কুয়াকাটাতে ১৬টি পেশায় সরাসরি পাঁচ হাজার লোক পর্যটন সেবায় জড়িত। এ সংকটের সমাধান না হলে একদিকে বেকারত্ব এবং সরকারের একটি বড় আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কয়েকদিন আটকে থাকা পর্যটকদের আমরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে নিজ গন্তব্যে পাঠাতে পেরেছি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায়। এখনও সার্বিক খোঁজ খবর রাখছি।

আইএ

Link copied!