পাবনা: দীর্ঘ ৯ বছর পর পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর ইমরুল কায়েস ইমরান (২২) নামের এক যুবককে হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ২ জন পলাতক রয়েছেন।
নিহত ইমরুল কায়েস ইমরান পাবনার বেড়া উপজেলার জগন্নাথপুর পূর্বপাড়া গ্রামের কালু সরদারের ছেলে। আর দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একইগ্রামের আবুল কালাম, রাজনারায়নপুর গ্রামের মোকছেদ আলী, মোক্তার হোসেন, আপেল মাহমুদ ও জাহিদুল ইসলাম। এদের মধ্যে আপেল ও জাহিদ পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই বিকেলে ইমরুল কায়েস ইমরানকে সিএনজি কেনার কথা বলে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত আসামিরা। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি ইমরানের। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি পরিবারের স্বজনরা। পরে ১৬ জুলাই সকালে আমিনপুর থানার চরদুলাই মুজিব বাঁধের পাশে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমরানের লাশ সনাক্ত করেন স্বজনরা। এ সময় নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রাঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারের ধারণা, তাকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায় অভিযুক্তরা।
এ ঘটনায় নিহত ইমরানের বাবা কালু সরদার বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :