দেওয়ানবাগ পীরের আস্তানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ 

  • নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
দেওয়ানবাগ পীরের আস্তানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ 

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন বির্তকিত দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফজর নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, ফজর নামাজের পর এক দল মুসল্লি ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগে দেওয়ানবাগীর আস্তানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময়  দুটি গরু ও দুটি মহিষ নিয়ে যান তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বিতর্কিত দেওয়ানবাগী পীরের জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্ততি নেন তার অনুসারীরা। এ সময় দেওয়ানবাগ জামে মসজিদের মুসল্লিরা বাধা দিলে পীরের অনুসারীরা মুসল্লিদের ধাওয়া করে। 

এ সময় উভয় পক্ষে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার ভোরে আশপাশের ১০/১৫ গ্রামের মুসল্লিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেওয়ানবাগীর আস্তানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। 

প্রায় ৩০ বছর আগে দেওয়ানবাগী পীর মাহবুব-এ-খোদা ইসলাম নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে বির্তকিত হন। এ নিয়ে আলেম ওলামাদের মধ্যে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। সে সময় দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের সঙ্গে এলাকাবাসীসহ মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হন। ২০২০ সালের বিতর্কিত দেওয়ানবাগী পীর মারা যান।

স্থানীয়রা আরও জানান, দেওয়ানবাগ শরিফে অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড চলছে। তা বন্ধে শুক্রবার ফজর নামাজের পর থেকে এখানে কর্মসূচি ঘোষণা করে ওলামা পরিষদ। ফজর নামাজের পর কয়েক হাজার মুসল্লি আস্তানায় প্রবেশ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।  

পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, সকালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। আর যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। 

আইএ

Link copied!