নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ঢাকা বাইপাস এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে নয়াপুর বাজার হয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন ব্রিজ ও গাউছিয়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এলাকা সবচেয়ে বেশি গর্ত ও খানাখন্দ। এতে এ সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। একটু বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমে রাতের বেলা চালক ও যাত্রীদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়।
প্রায় সময় বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় যানবাহন খানাখন্দে পড়ে উল্টে যাচ্ছে। এতে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন এবং সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বড় বড় খানাখন্দের কারণে অনেক সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। জরুরি ভিত্তিতে এ সড়কের গর্ত ও খানাখন্দ মেরামত করার জোর দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে নয়াপুর এলাকায় গিয়ে খানাখন্দের কারণে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। টানা কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় এ সড়কে চলাচলরত যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। এতে প্রায়ই সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট ও দুর্ঘটনা।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে জয়দেবপুর সড়ক এশিয়ান হাইওয়ে সবসময় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। এ মহাসড়ক দিয়েই চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান, লরি, ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি ও অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৩-৪ মাস ধরে অসংখ্য বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ মেরামত করছে না।
তালতলার এলাকার মিজান বলেন, ৬ মাস ধরে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পিচ ঢালাই, ইট-সুরকি বের হয়ে এসেছে। গর্তগুলো রাতেরবেলা মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ গর্ত ও খানাখন্দগুলো মেরামত না করায় প্রায়ই ছোট-বড় যানবাহন উল্টে যাচ্ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ সড়কের কাভার্ডভ্যান চালক মাসুদ রানা বলেন, খানাখন্দের কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব গর্তে অনেক সময় গাড়ি আটকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাতেরবেলায় খানাখন্দগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় থাকছে। জরুরিভিত্তিতে এ সড়কের খানাখন্দ ও গর্তগুলো মেরামত করার দাবি জানাচ্ছি।
অটোরিক্সা চালক মাসুম মিয়া জানান, কয়েক মাস ধরে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। এসব গর্তে গাড়ি পড়ে কয়েকবার দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম এবং যাত্রীরাও আহত হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য এখনো কেউ এগিয়ে আসেনি।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহানা ফেরদৌস জানান, এ রাস্তাটি আমার অধীনে না। এটি হচ্ছে ঢাকা বাইপাস প্রকল্পের অধীনে। তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি এবং মিটিংও করেছি। তারা বলেছে তাদের টিম সংস্কারের জন্য কাজ করছে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :