নোয়াখালীতে বাজারে অভিযান, জব্দ ৬৫ কেজি ইলিশ বিতরণ হল এতিমখানায়

  • নোয়াখালী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
নোয়াখালীতে বাজারে অভিযান, জব্দ ৬৫ কেজি ইলিশ বিতরণ হল এতিমখানায়

নোয়াখালী: নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মজুদ ও বিক্রি বন্ধে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় মৎস বিভাগ। এই সময় পৃথক দুই অভিযানে ৬৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত ইলিশ পাঠানো হয় স্থানীয় কয়েকটি এতিমখানায়।

জানা যায়, রোববার (১৩ অক্টোবর) চলমান মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের প্রথম দিনে বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাছ বাজার পরিদর্শন করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার। এ সময় চৌমুহনীর গোলাবাড়িয়া মাছ বাজারে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্রি করতে আনা প্রায় ৪৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয় এবং পরবর্তীতে তা দুইটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার আজ প্রথম দিন। আজ ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং জব্দকৃত ৪৫ কেজি ইলিশ ইতিমখানায় বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

এদিকে নোয়াখালী সদর উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মজুত রাখা ২০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। তারপর মাছগুলো স্থানীয় দুটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।  রোববার বেলা ১১টার দিকে পৌর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল।

জানা যায়, চলমান মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের প্রথম দিনে পৌরবাজারসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন মাছ বাজার পরিদর্শন করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল। পৌরবাজারে অভিযান পরিচালনার সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মজুত রাখা প্রায় ২০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয় এবং পরবর্তীতে তা বাহতুন নুর আশ্রাফিয়া মাদরাসা ও তালিমুল কোরআন মাদরাসার এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।

বাহতুন নুর আশ্রাফিয়া মাদরাসার শিক্ষক সায়েম মো. ওমর বলেন, ইলিশের দাম এত বেশি যে মাদরাসায় ইলিশ খাওয়াটা স্বপ্নের মতো। মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের মাদরাসার এতিমখানায় ইলিশ মাছ দিয়েছেন। এগুলো বড় পাওয়া। ছাত্ররা অভিযান হলে কেবল ইলিশের দেখা পায়। তা না হলে সাধ্য নেই ইলিশ খাওয়ার।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, মা ইলিশ বা জাটকা ধরে ফেললে আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন কমে যাবে। ইলিশের উৎপাদন কমে গেলে যারা ইলিশ আহরণ করে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বড় ইলিশ উৎপাদন হলে যারা এখন ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত তারাই সে সময় লাভবান হবেন। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

এসএস

Link copied!