নীলফামারী: বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন নীলফামারী পল্লী চিকিৎসক ধনেশ্বর রায়। এবছর মাল্টার ভালো ফলন হওয়ায় আর্থিকভাবে লাভের আশা করছেন তিনি। মাল্টা চাষে পল্লী চিকিৎসকের সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এখন মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দাড়িহারা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ধনেশ্বর রায় কয়েক বছর আগে নিজের পাঁচ বিঘা জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টার ৫৬৪টি চারা লাগান। গেল বছর থেকে গাছে ফলন আসতে শুরু করে। প্রথম বছর তেমন ফলন না হলেও চলতি বছর মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় মাল্টা ধরেছে। সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে মাল্টা বিক্রি শুরু করেছে তিনি।
মাল্টা চাষী ধনেশ্বর রায় জানান, এ বছর মাল্টার ভালো ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে মাল্টা বিক্রি শুরু করছি। আশা করছি যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লাভ হবে। তার বাগানের মাল্টা আকারে বড় ও মিষ্টি হওয়ায় ফল ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। নিজের পেশার পাশাপাশি মাল্টা চাষ করে বাড়তি আয় করতে পারছি।
ধনেশ্বরের প্রতিবেশী জগদিশ চন্দ্র জানান, ধনেশ্বর রায়ের বাগানের মাল্টা আকারে বড় ও খেতেও সু-স্বাদু। তার মাল্টার বাগান দেখতে প্রতিদিন অনেকে আসছেন। মাল্টার বাম্পার ফলন ও বাজারে এর চাহিদা দেখে অনেকে এখন মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবু বকর সাইফুল জানান, মাল্টা একটি লাভজনক ফসল। তাই আমরা মাল্টা চাষ করতে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করে থাকি। এছাড়া নীলফামারীর মাটি ও পরিবেশ মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :