রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মীকে গণপিটনি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা

  • রাজশাহী ব্যুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মীকে গণপিটনি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা

ছবি : প্রতিনিধি

রাজশাহী: রাজশাহীতে ধাওয়া দিয়ে ধরে তুলে নিয়ে গিয়ে মো. মীম (২৫) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়া এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গুরুতর জখম ও অচেতন অবস্থায় রেখে যায় তারা।

নিহত মো. মীম মহানগরের রামচন্দ্রপুর এলাকার আবদুল মোমিনের ছেলে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ কর্মী জহিরুল হক রুবেলের আত্মীয় ছিলেন এই মীম। তিনি মহানগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে থাকতেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন মীম। শনিবার বিকেলে তিনি ফিরলে রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় একদল যুবক তাকে ধাওয়া দেন। পরে পঞ্চবটি এলাকায় এসে তাদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কে বা কারা হাসপাতালে নিয়ে গেছে তা পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।

মীমকে তুলে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৬ মিনিটে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় একদল যুবকের সাথে মীমের ধস্তাধস্তি হয়। ৮-১০ যুবক তাকে জোরপূর্বক একটি ব্যাটারিচালিক রিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মীমকে অচেতন অবস্থায় রামেক হাসপাতালের সামনে রেখে যাওয়া হয়। হাসপাতালের ট্রলিম্যানরা তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তির নির্দেশ দেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় মীমের মৃত্যু হয়।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মীমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। শরীরে প্রচুর মারধর ও ছুরিকাঘাতসহ গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সে মারা গেছে।

বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজমুল ইসলাম জানান, মীম আওয়ামী লীগ করতেন বলে জানা গেছে। তার মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে থানায় হত্যা মামলা হবে।  

তিনি আরও জানান, কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এসআই

Link copied!