২০০৬ সালে জামায়াত ও শিবির নেতাদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

  • পূর্বধলা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
২০০৬ সালে জামায়াত ও শিবির নেতাদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

নেত্রকোণা: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবরে ঢাকার পল্টনে জামায়াত ও শিবিরের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি বৈঠার তান্ডব ও নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে পূর্বধলা হেলিপ্যাড মাঠে পূর্বধলা উপজেলা জামায়াতের মাহফুজুল হক খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোণা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমদ হারিছ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেত্রকোণা জেলা শাখা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পৌর শাখা নেত্রকোণা আমীর মোঃ নিজাম উদ্দিন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হুগলা ইউনিয়ন সভাপতি এমদাদুল হক বাচ্ছু, ঘাগড়া ইউনিয়ন সভাপতি শাহাদাত হোসেন টুটুল, ধলামূলগাও ইউনিয়ন সভাপতি এমদাদুল হক, সদর ইউনিয়ন সভাপতি তাজুল ইসলাম বাবুল, বিশকাকুনী ইউনিয়ন সভাপতি সুরুজ্জামান, গোহালাকান্দা ইউনিয়ন সভাপতি জহিরুল হক, বৈরাটি ইউনিয়ন সভাপতি আবুল হাসনাত প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন ‘২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সারা দেশে লগি-বৈঠার তাণ্ডব সৃষ্টি করে। ওইদিন ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসী কর্মীরা গোটা পল্টন এলাকায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপর লগি, বৈঠা, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে শুরু করে।  সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পল্টনের বিস্তৃত এলাকা লগি-বৈঠাধারীদের তাণ্ডবতায় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হয়। তাদের হামলায় জামায়াত-শিবিরের ৬ জন নেতা-কর্মী নিহত হন এবং আহত হন সহস্রাধিক নেতা-কর্মী। শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশে ১৪ দলের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গোটা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। মানুষ হত্যা করে মৃত লাশের উপর নৃত্য করে উল্লাস প্রকাশ করা হয় যা সারা বিশ্বের মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠাধারীদের হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। 

এর আগে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে।

এসএস

Link copied!