রংপুর: জুলাই হত্যাকাণ্ডের প্রধান মাস্টারমাইন্ড স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা পরিকল্পনা করছে। রিক্সা শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক কিংবা ইসকনের আন্দোলনে আওয়ামীলীগের লোকজনদের দেখা যাচ্ছে। তারা বারবার প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছে। এজন্য আওয়ামী লীগ ও ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বুধবার(২৭ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরে জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এমন মন্তব্য করেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে হাজারো ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আর কত লাশ পড়লে আওয়ামী লীগের মতো জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মঙ্গলবার চট্টগ্রামে যেভাবে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে এতে প্রমাণিত হয়েছে ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন। ইসকন যেভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে আপনারা কি তাদের সঙ্গী হতে চান। যদি না চান তাহলে তাদের কাছ থেকে আপনাদের দূরে থাকতে হবে। এবং তাদের নিষিদ্ধের ব্যাপারেও আপনাদের কথা বলতে হবে।
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর প্রকাশ্যে শিবিরের এ মিছিলটি কারমাইকেল কলেজের মূল ফটক থেকে শুরু হয়। মিছিলে যোগ দেন শিবিরের হাজারো নেতাকর্মী। মিছিলটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে মর্ডান মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা বক্তব্য দেন।
বিক্ষোভ শেষে শিবির নেতৃবৃন্দরা বলেন, চট্টগ্রামের আদালতে ইসকন অনুসারীরা প্রকাশ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করেছে। জঙ্গিবাদী সংগঠন হিসেবে ইসকন কে নিষিদ্ধ করতে হবে। হিন্দুধর্ম ও এক নয়। জঙ্গিবাদী সংগঠন ইসকনের সাথে না থেকে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আহ্বান জানান তারা।
মহানগর শিবিরের সেক্রেটারি নুরুল হুদার সঞ্চালনা ও সভাপতি গোলাম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা উত্তর শিবিরের সভাপতি মুজাহিদ ইসলাম, দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান, বেরোবি সভাপতি সোহেল রানা, কারমাইকেল কলেজ সভাপতি মেহেদী হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব ডা. আশফাক হোসেন জামিল, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :