হিলিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী সাপ দিয়ে পাতা খেলা

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
হিলিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী সাপ দিয়ে পাতা খেলা

দিনাজপুর: হিলিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা। কালের বির্বতনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই খেলাটি। তাই এই খেলাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এমন আয়োজন। 

৮ টিমে এতে অংশগ্রহন করেন ৪০জন খেলোয়ার। ঐতিহ্যবাহী খেলাটি দেখতে ভীর করেন আশপাশ থেকে ছুটে আশা হাজারো সব বয়সের মানুষ। 

তবে খেলাটি প্রতি বছর ও বড় পরিসরে করার দাবী দর্শনার্থীদের। তবে আগামীতে সহযোগিতা পেলে বড় পরিসরে খেলাটি করার ইচ্ছে আয়োজকদের।

কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসেছে প্রাচীন বাংলার খেলাধুলা। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সংস্কৃতির অবিচ্ছিত পাতা খেলা নতুন প্রজন্মের কাছে অনেকটাই অচেনা। 

তাই তাদেরকে নতুন করে পরিচয় করে দেবার জন্য আয়োজন করেছেন বোয়ালদাড় ও বানিয়ালের যুবসমাজ। কুলসুম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, সীমান্তবর্তী উপজেলা হাকিমপুরের বোয়ালদাড় পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে একদিনের এই সাপের পাতা খেলা দেখতে এসেছি।খেলা শুরু হয়েছে  বিকেল থেকে চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

মহব্বত নামের আরেকজন ব্যক্তি বলেন, খেলার পুরো সময় ধরে মাঠ জুড়ে ছিল নারী-পুরুষ দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। পুরো বোয়ালদাড় জুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। মাঠের চারদিকে দর্শক মাঝখানে কলা গাছ, আর সেখানে এলাকার কিছু মানুষ। যাদের সম্মুখীন ক্ষমতা দিয়ে তন্ত্র মন্ত্র পড়ে হাত নাড়াচ্ছে খেলোয়াররা। 

মাঠের চারপাশে মন্ত্র পড়ছে কিছু মানুষ। তান্ত্রিক দল মন্ত্র দিয়ে পাতারূপী সাপকে মাঠের মাঝখান থেকে নিজের দিকে টানার প্রতিযোগিতা করেন। যে দল তাদের মন্ত্রের মাধ্যমে পাতাকে নিজের ঘড়ের মধ্যে নিয়ে আসতে পারবে সেই বিজয়ী। প্রতিযোগিতায় যাদের পয়েন্ট বেশি সেই দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। 

খেলোয়ার ফারুক বলেন, এই খেলায় মন্ত্রবিদ্যা যেমন আনন্দিত তেমনি আনন্দিত খেলোয়াড়রা যাওয়া ঐতিহ্যবাহী এই খেলা দেখতে পেরে উচ্ছ্বসিত দর্শকরা। তারা চান মাঝে মধ্যেই যেন এ বিনোদন খেলাটি উপভোগ করতে পারেন।

কোনো পুরস্কারের আশায় নয় খেলাটি খেলতে এসেছের দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার জন্য। এদিকে আয়োজক এ এস নাসিম বলেন, গ্রামীণ সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরা ও নতুনদেরকে এই খেলার সাথে পরিচয় করার জন্য এই খেলার আয়োজন খেলাটি নিজেদের অর্থায়নে করা।যদি সরকার কিংবা জনপতিনিধিরা একটু সাহায্য করেন তাহলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে করা যেতে পারে।

বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেফতাহুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময়ই এই ধরনের খেলা থেকে শুরু করে সাহায্য করে থাকি আগামীতে খেলাটি আরও যেন ভালো করে করতে পারে সেই লক্ষে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

খেলায় ৮টি টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মাইচান বোয়ালদাড়। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়নকে খাসি  ও রার্নাস আপকে রাজ হাঁস পুরস্কৃত করা হয়।

এআর

Link copied!