যশোর : যশোরের পুলেরহাটে আদ্ব-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ শুনতে এসে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ায় পাঁচ শতাধিক জিডি হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। যার তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মাহফিলকেন্দ্রিক জিডির প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন চার দিনের সার্বিক জিডির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এ সব প্রতিবেদনগুলোতে। যা শুধু মাহফিলকেন্দ্রিক নয়। প্রকৃতপক্ষে মাহফিলকেন্দ্রিক সর্বমোট ৮৪টি জিডি রেকর্ড করা হয়েছে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায়।
যশোর কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে মাহফিলকেন্দ্রিক ৫০০ জিডি হয়েছে বলে প্রতিবেদন করা হয়েছে। যার তথ্য সঠিক নয়। যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় নিয়মিত জিডির সঙ্গে মাহফিলকেন্দ্রিক জিডির তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনগুলো করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মাহফিলকেন্দ্রিক সর্বশেষ অনলাইন তথ্য অনুযায়ী ৮৪টি জিডি ও ২টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। যে মামলায় দুইজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিডিগুলোর অধিকাংশ মোবাইল ফোন হারানো সংক্রান্ত।
তিনি আরও জানান, জিডি মূলে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি হারিয়ে যাওয়া ফোনগুলো দ্রুতই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এদিকে জিডিকারী কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাহফিলের শেষদিনে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে অতিরিক্ত ভিড়ের কারনেই মোবাইল খোয়া গেছে তাদের। এদিন প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছিল মাহফিল মাঠ প্রাঙ্গণে।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে তিন দিনব্যাপী এই মাহফিল শুরু হয়। মাহফিলের প্রথম দিন আলোচনা করেন আল্লামা মামুনুল হক ও আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন আলোচনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী ও মুফতি আমির হাজমা। শেষদিন শুক্রবার আলোচনা করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ও খ্যাতনামা ইসলামি বক্তা ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :