ঈশ্বরদীর ৩২টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা নথিভুক্ত না করার অভিযোগ 

  • পাবনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
ঈশ্বরদীর ৩২টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা নথিভুক্ত না করার অভিযোগ 

পাবনা: স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৩২টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা নথিভুক্ত না করার অভিযোগ উঠেছে পাবনা জেলা বিএনপির কিছু নেতার বিরুদ্ধে। ষড়যন্ত্র দাবি করে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এমন অভিযোগ করা হয়। এর আগে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় জেলা বিএনপির ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রি কিছু নেতার বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানান নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঈশ্বরদীতে বিগত স্বৈরাচার হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনে সর্বাধিক মামলা ও হামলার শিকার হয় বিএনপিসহ অসংখ্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতন ও অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিগত ২০০৯ সাল হতে ২০২৪ পর্যন্ত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের দায়েরকৃত সকল রাজনৈতিক মামলা নথিভূক্ত করার আহবান জানান।

কেন্দ্রীয় বিএনপি স্ব-স্ব উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলার তালিকা জেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত ৩২টি রাজনৈতিক মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করে পাবনা জেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দেন। অথচ পাবনা জেলার সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক মামলাগুলি আদালতে নথিভূক্ত হলেও, ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক মামলাগুলির একটিও নথিভুক্ত করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারসহ কিছু নেতার ষড়যন্ত্রে রাজনৈতিক মামলাগুলো নথিভূক্ত করা হয়নি। উপরোক্ত মামলাগুলো নথিভুক্ত না হাওয়ার বিষয়ে অবগত হওয়ার পরে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দেননি। এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী নেতৃবৃন্দ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুজ্জোহা পিন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির দুলাল, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান স্বপন, আনোয়ার হোসেন জনি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম হোসেন জুয়েল ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জুয়েল প্রমুখ।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ’নথি দিলে তালিকাভূক্ত হবার কথা। ভুলবশত না হয়ে থাকলে সেটি আমরা আবার দেখবো। তালিকাভূক্তির ব্যবস্থা করবো। এখানে ষড়যন্ত্রের কিছু নেই।’

এআর

Link copied!