ফাইল ছবি
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবকের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে দু’টি বসতবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ১০টায় লালমনিরহাট পৌর এলাকার জেলরোডের তেলিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসে চার যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জু’মার নামাজ চলন্ত অবস্থায় একে অপরের সাথে হাসাহাসি ও ঠাট্টাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আব্দুস সালামের ছেলে জিসান (১৭) ও শফিকুলের ছেলে সজিব (১৮) এর মধ্যে বাগবিতণ্ডায় সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হলে জিসানকে মারধর করে তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় সজিব। পরে বিষয়টি পারিবারিক পর্যায়ে গেলে জিসানের বাবা আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে এসে এর প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে তাকেও মারধর করা হয়। পরে সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনটি ফেরত দেয়ার কথা বলে তাদেরকে আবারো ডেকে নেয়। এসময় আবারও জিসান ও তার ভাই রোহানকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারধর ও জখম করে সজিব গংরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জিসানকে প্রথমে সদর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে। এরপর রাত দশটার দিকে পুরো এলাকাজুড়ে জিসানের মৃত্যু হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সজিবের বাড়িসহ দুটি বাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জিয়া, শাহিন, সজিব ও সবুজ নামে চার যুবককে আটক করে পুলিশ।
আহত রোহানের মা বিলকিছ বেগম জানান, আমার ছেলে ও স্বামীকে একা পেয়ে শফিকুলের ছেলেরা মারধর করেছে। আমার ছেলে হাসপাতালে মারা গেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনগণ তাদের বাড়িঘরে হামলা করে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার (ওসি) মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন, হাসাহাসির মতো একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। একজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি আছেন। নিহতের ঘটনাটি গুজব। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ মারামারির ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে।
এসআই
আপনার মতামত লিখুন :