খুলনা ব্যুরো
খুলনা: মশা নিধন ও মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষার দাবিতে ধুপ ও কয়েল জ্বালিয়ে এবং মশারি নিয়ে খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপী নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে ব্যতিক্রমর্ধী এই কর্মসূচীর আয়োজন করে খুলনা নাগরিক সমাজ।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসীন। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার। বক্তব্য রাখেন এস এম দেলোয়ার হোসেন এর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, নাগরিক নেতা মিজানুর রহমান বাবু, জননেতা শেখ মফিদুল ইসলাম, মুনীর চৌধুরী সোহেল, ডা. নাসির উদ্দিন, সরদার আবু তাহের, শেখ মো. নাসির উদ্দিন, আব্দুস সালাম শিমুল, এইচ এম আলাউদ্দীন, রোটাঃ কামরুল করিম বাবু, আবু আসলাম বাবু, মাহবুবুর রহমান মুন্না, এফ এম মনিরুজ্জামান, ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, খ ম শাহীন হোসেন, অ্যাড. মেহেদী হাসান, প্রফেসর রোটাঃ উত্তম দাস, সাঈদা পারভীন, সাইফুর রহমান মিনা, জাহানারা আক্তারী, প্রমি আক্তার লিজা প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, নগরীতে বর্তমানে মশা এতোটাই বেড়েছে যে রাতে কিংবা দিনে কোথাও দাড়ানো-বসার সময় সুয়োগ নেই। বাসাবাড়িতে সব সময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাড়ালেখা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে সকলের স্বাস্থ্য ঝঁুকিও। কিন্তু সিটি করপোরেশন বরাবরের মতোই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। নাম মাত্র ধেঁায়া আর তেল ছিটাচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বক্তারা আরও বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে এতোটাই খারাপ যে নগরবাসীর জীবন একেবারে বিষিয়ে তুলেছে। এর সময় বক্তারা দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।
বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসি’র প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার বলেছেন, অপরদিকে নগরীতে মশার উপদ্রপ কমানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মশা পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয় তবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণে কেসিসি বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতিনিয়ত মশা বংশ বিস্তার করে। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। আগামী ২৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০টি করে ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হবে। একই সাথে মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং করা হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হবে। শনিবার দুপুরে কেসিসি’র শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসী, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।
সভায় কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকতার্ লস্কার তাজুল ইসলাম, কেডিএ’র সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) এমএম মাহমুদুর রহমান, কেসিসি’র সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কোহিনুর জাহান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. নিজামুল ইসলাম, কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় সঠিক সময়ে মশার ঔষধ ছিটানো, ড্রেন পরিষ্কার রাখা, নগরবাসীকে সচেতন করা, নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা বিষয়ে অংশগ্রহণকারীরা মতামত তুলে ধরেন। সভায় কেসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, সুশীল সমাজ, নাগরিক ফোরামের প্রতিনিধি-সহ এনজিও এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :