পাবনা: ঈশ্বরদীতে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও সংঘবদ্ধ চোর চক্রের মূল হোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় চোরাই মোটরসাইকেল সিন্ডিকেটের মূল হোতা প্রান্ত (২৪)। পুলিশের অভিযানে চুরি হওয়া মোট চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর থানার দড়ি কামালপুর এলাকার বাসিন্দা ও নেসকোর কর্মচারী মো. মোশাররফ হোসেন (৪১) গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় তার ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলটি ঈশ্বরদী নেসকো অফিসের গেটের সামনে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে কাজের জন্য বাইরে যান।
কাজ শেষে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিরে এসে তিনি দেখেন, তার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা (নং-৪১, তারিখ-২৪/০৩/২০২৫) দায়ের করা হয়।
চুরির ঘটনায় পাবনার পুলিশ সুপারের নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ও ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে ঈশ্বরদী থানার একটি চৌকস দল তদন্ত শুরু করে। আধুনিক প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঈশ্বরদী থানাধীন আলহাজ মোড় থেকে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা প্রান্তকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রান্তকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাবনা সদর থানার জহিরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামি জুয়েল (২৫)-এর বাড়ি থেকে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়-একটি ইয়ামাহা এফজেড ও একটি লিফান ১০০ সিসি।
এরপর, চক্রের আরেক সদস্য ওয়াজেদ আলী (৫৫)-এর তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার বাগুয়ান গ্রামে অভিযান চালিয়ে নেসকো কর্মচারীর হারানো ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, প্রান্তের দেওয়া তথ্যে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি রেলগেট এলাকার একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরের পেছনে ঝোপের মধ্যে রাখা অ্যাপাচি ১৬০ সিসির একটি খোলা যন্ত্রাংশের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে পাবনা, ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল এবং সে পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি জানান, মোটরসাইকেল চুরি চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :