চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চনুতি জাঙ্গালিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সবকিছু সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ফারুক ই আজম বলেন, সবকিছু ডাক্তারদের পরামর্শেই হবে। এখান থেকে যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নিতে হয় সেটাও চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে করা হবে।
চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য যদি বাইরে কোথাও নিতে হয় সরকারের পক্ষ থেকে আমরা উদ্যোগ নেব। চিকিৎসকদের পরামর্শে যা করা দরকার সবটুকু আমরা করব।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় তিন দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
ঈদের এক দিন পর বুধবার সকালে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের ১০ আরোহীর মৃত্যু হয়।
যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখান থেকে মাত্র ৩০-৩৫ গজ দূরে ঈদের দিন সকালে বাস ও মিনিবাসের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
পরদিন কাছাকাছি এলাকায় দুটি মাইক্রোবাস সড়ক থেকে উল্টে পাশের খাদে পড়ে গেলে ১২ জন আহত হন।
লোহাগাড়ায় দুর্ঘটনায় নিহতের জন্য শোক প্রকাশ করেন উপদেষ্টা ফারুক।
এসময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আরাধ্যার মা-বাবা দুজনই মারা গেছেন। এটা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। তার শারীরিক অবস্থা আস্তে আস্তে ইমপ্রুভ করছে। এখনো রিস্ক ফ্রি না। ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সব পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং ওষুধ হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে।
বুধবারে ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দিলীপ বিশ্বাস ও সাধনা মণ্ডল দম্পতির মেয়ে ছয় বছর বয়সের আরাধ্যা বিশ্বাস। চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন চিকিৎসাধীন সে।
নিহত সাধনা মণ্ডলের ভাতিজা দুর্জয় মন্ডলও (১৮) একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এছাড়া নিহত রফিকুল ইসলাম ও লুৎফুন নাহার সুমি দম্পতির মেয়ে প্রেমা (২০) ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।
আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম বিষয়ে উপদেষ্টা ও মেয়রকে অবহিত করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন ও উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী৷
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :