ঢাকা: রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ৪ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি এক দিনের রিমান্ড শেষে আসামি শাফায়াত জামিলের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জামিলকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। তারপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শাফায়াত জামিল (২২)। সেদিন আদালতে হলফনামা দিয়ে মামলায় সম্পৃক্ততার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শাফায়াত। এরপর বিচারক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত এ মামলায় বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এরপর গত বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আসামি মুর্তুজা রায়হান চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তারপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শেষে নুহাত আলম তাফসীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি আদালত এ মামলায় মুর্তুজা রায়হান ও তাফসীরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৩০ জানুয়ারি তরুণী মারা যান। ওইদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় নিহত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চার জনসহ অজ্ঞাত আরো একজনের নামে মামলা করেন।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :