ঢাকা : বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এরপর বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে প্রিজন ভ্যানে পরিমণিকে নিয়ে কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরীমণিকে বহন করা প্রিজন ভ্যানটি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছে।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জেল সুপার আব্দুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাসূত্র জানায়, নায়িকা পরীমণিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে (রজনীগন্ধা ভবন) রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরীমনির অন্যতম আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর এক আবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাকে ডিভিশন দেয়ার আদেশ দেয়া হয়।
ডিভিশন দেয়ার আদেশে বলা হয়েছে, যেহেতু আসামি একজন চিত্রনায়িকা ও শিল্পী, সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে বসবাস করা তার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কারণে কারাবিধি মেনে কারা কর্তৃপক্ষকে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেয়া হলো।
এর আগে, দুই দফায় ছয়দিনের রিমান্ড শেষে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পরীমণিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
পরীমণির আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ পরীমণির জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে পরীমণির জামিন আবেদনে তার আইনজীবী মজিবুর রহমান আদালতে উল্লেখ করেন, পরীমণি ‘ভারটিগো’ এবং ‘প্যানিক অ্যাটাক’-এর রোগী। তিনি দীর্ঘসময় পুলিশ কাস্টডিতে (হেফাজতে) অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হেফাজতে থাকলেও মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটিত হয়নি। জরুরি চিকিৎসার স্বার্থে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া আবশ্যক।
অপরদিকে, পরীমণিকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমণিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’
সেখানে আরো বলা হয়, ‘রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে আসামি (পরীমণি) বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার অভিযোগের সাথে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটকে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
গত ১০ আগস্ট দুপুরে চারদিনের রিমান্ড শেষে নায়িকা পরীমণিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় পরের দিন পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
কারাগারে বিশেষ সুবিধা পাবেন পরীমণি : চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণিকে মাদকের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এ আবেদন করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবীর আবেদনে বলেন, যেহেতু পরীমণি একজন স্বনামধন্য নায়িকা, তার জন্য সাধারণ হাজতিদের সঙ্গে বসবাস করা অস্বস্তিকর ও তার মানসিক উৎপীড়ন হতে পারে। এমনকি দুর্ঘটনার শিকারও হতে পারেন তিনি। তাই তাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার আবেদন করছি।
পরে বিচারক তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদেশে বিচারক বলেন, যেহেতু আসামি একজন চিত্রনায়িকা ও শিল্পী, সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে বসবাস করা তার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই কারাবিধি অনুসরণ করে কারা কর্তৃপক্ষকে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেয়া হলো।
এর আগে, দুই দফায় ছয়দিনের রিমান্ড শেষে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পরীমণিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
পরীমণির আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ পরীমণির জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে পরীমণির জামিন আবেদনে তার আইনজীবী মজিবুর রহমান আদালতে উল্লেখ করেন, পরীমণি ‘ভারটিগো’ এবং ‘প্যানিক অ্যাটাক’-এর রোগী। তিনি দীর্ঘসময় পুলিশ কাস্টডিতে (হেফাজতে) অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হেফাজতে থাকলেও মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটিত হয়নি। জরুরি চিকিৎসার স্বার্থে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া আবশ্যক।
অপরদিকে, পরীমণিকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমণিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’
সেখানে আরো বলা হয়, ‘রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে আসামি (পরীমণি) বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার অভিযোগের সাথে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটকে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
গত ১০ আগস্ট দুপুরে চারদিনের রিমান্ড শেষে নায়িকা পরীমণিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় পরের দিন পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :