আরও চার মামলায় আমির খসরুর জামিন শুনানি শেষ, আদেশ ৩ টায়

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৪, ০১:২২ পিএম
আরও চার মামলায় আমির খসরুর জামিন শুনানি শেষ, আদেশ ৩ টায়

ঢাকা : রাজধানীর রমনা থানার দুটি ও পল্টন মডেল থানার আরও দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশ দেওয়ার জন্য বিকাল ৩ টায় সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

রোববার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২৮ অক্টোবরের পর আমির খসরুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১০ মামলার মধ্যে ৬ মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। এ চার মামলায় জামিন পেলে তার কারামুক্তিতে বাধা থাকবে না।

এ সময় আসামি পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী আসাদুজ্জামান, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুল মোত্তাকিন তার জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বিকাল ৩ টায় আদেশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন।

আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৮ জানুয়ারি রমনা থানার দুটি ও পল্টন মডেল থানার দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আমির খসরুর জামিন মঞ্জুর করেন তোফাজ্জল হোসেনের আদালত। পরে আরও চার মামলায় শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ১৭ জানুয়ারি পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আমির খসরুর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমির খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। এরমধ্যে দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।

২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন।

এমটিআই

Link copied!