ঢাকা: উঠতি মডেলদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নানান অপরাধ কর্ম করার ঘটনা অনেক ঘটেছে রাজধানীতে। এমনকি উঠতি মডেলদের দিয়ে নানান অপরাধ করানোর খবরও আছে। আবার অনেক মডেলদের অপরাধ কর্মে জড়িত থাকার ঘটনায় গ্রেপ্তারও করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি এমন ঘটনাও আছে। সম্প্রতি রাজধানীতে আফরোজা আক্তার মিমি (২১) নামের এক উঠতি মডেলের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার একটি মামলা দায়ের করেছে নিহতের বাবা। এই আত্মহত্যায় এক পুলিশ সদস্যর দিকেও অভিযোগের তীর রয়েছে। কিন্তু প্ররোচনায় আত্মহত্যার মামলায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। নিহতের বাবা বিভিন্ন গণমাধ্যমে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কথা বলায়, ঐ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মিরপুরে ডিওএইচএস এলাকার বাসিন্দা আফসার উদ্দিন লক্ষিপুরের নিজ গ্রামে মেয়েকে দাফন করেছেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সময় জনি তার মেয়েকে নির্যাতন করতো। মারধর করতো। গায়ের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্নও আছে। বাচ্চা পেটে আসলে তার ওপর নির্যাতন আরো বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে ওষুধ খাইয়ে বাচ্চা নষ্ট করা হয়। এরপরই মামলায় যায় তারা। কিন্তু মামলা করেও জনির হাত থেকে রক্ষা করা যায়নি মিমিকে। জামিনে বের হয়ে বিভিন্ন ভাবে যন্ত্রণা দিতে শুরু করে মেহেদী হাসান জনি।
মিমির বাবা আরো বলেন, জেলে যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় সে জামিনে বের হয়ে আসে। এসেই মিমিকে মানসিক অত্যাচার করা শুরু করে। এরমধ্যে মামলার আয়ু এসআই মোশারফ বিভিন্ন ভাবে টাকা চাইতে থাকে। সে চার্জশিট দেয়ার নামে টাকা দাবি করতে থাকে। সে বলে টাকা না দিলে ভুল চার্জশিট দিবো। সে এসব বলে ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তারপরেও চার্জশিট দেয়নি।
মিমির ভাই আবিদ উদ্দিন রেনি বলেন, ‘মেহেদি হাসান জনি জামিনে বের হয়ে আমার বোনকে উতাক্ত্য করতে থাকে, হুমকি-ধমকি দেয়। আমরা থানায় একটা জিডি করে জামিন ক্যানসেলের আবেদন করি। কিন্তু আদালত সেই আবেদন আমলে নেয়নি। ওদিকে পুলিশ আর জনির উৎপাতে এক পর্যায়ে আমার বোন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এরপর তাকে আমরা শ্যামলির মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করি। তখন পুলিশ সাক্ষির নাম করে সেখান থেকে তাকে নিয়া আসে। ফলে আমার বোনের চিকিৎসাও ঠিকঠাক হতে পারেনি। আমরা তখন বলি- চিকিৎসাটা করে নেই। আগে সুস্থ হোক তারপর দেখা যাবে সব। তবে পুলিশ বলে, সাক্ষি না দিতে পারলে মামলায় আপনারা ফাঁসবেন। এসব বলে তখন তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়। এখন তো বোন মারাই গেছে।’
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া সোনালীনিউজকে এসব বিষয়ে বলেন, নিহতের বাবার সঙ্গে আমার কয়েকবার কথা হয়েছ। তারা থানায় এসে হত্যায় প্ররোচনার মামলাও করেছে। আমরা মামলা নিয়েছি। তাদের মেয়ে নাকি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ছাদে গিয়েছিলো। সেখান থেকে পরে গিয়েছে নাকি ইচ্ছা করে লাফ দিয়েছে এটা তারা নিশ্চিত করতে পারেনি। আর মামলা করার সময় একটি বারের জন্যও বলেননি পুলিশ সদস্য তাদের কাছে টাকা দাবি করেছে। এমনকি বিভিন্ন ভাবে উত্যাক্ত করার কথাও বলেননি তারা। যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করতো আমরা অব্যশই ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।
সোনালীনিউজ/এম
আপনার মতামত লিখুন :