সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুলিশের কাছ থেকে জোর করে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় পৌর শহরের রঘুনীলি-মঙ্গলবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাড়াশ পৌর শহরের শোলাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মৃত: আব্দুল গণির ছেলে মো: ফিরোজ (৪০) নাটোরের জনৈক্য ব্যবসায়ীর নিকট বাকিতে মালামাল নিয়ে তাকে একটি ব্যাংকের চেক প্রদান করেন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী চেকটি নগদায়ন করার জন্য জমা দিলে সেখানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় তার তহবিল অপর্যাপ্ত। নিরুপায় হয়ে ওই ব্যবসায়ী নাটোর দেওয়ানী আদালতে তার পাওনা টাকার দাবিতে একটি এনআই এ্যাক্ট্রের মামলা করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে আসামিকে আট লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ টাকা অর্থদণ্ড ও এক বছরের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন। আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারি করেন।
ওয়ারেন্টভুক্ত ওই আসামিকে ধরতে তাড়াশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: মন্টু মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকাল শনিবার ১১ টায় রঘুনীলি-মঙ্গলবাড়িয়া বাজারে অভিযান চালায়। পুলিশ আসামির পরিচয় নিশ্চিত হতে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ফিরোজকে আটক করেন। এ সময় চা স্টলে বসে থাকা পৌর বিএনপির নেতা মো. ওমর আলী ও রঘুনিলী মঙ্গলবাড়িয়া বিজ্ঞান কৃষি ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী মো: জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ জনতা বেআইনীভাবে পুলিশের কাজে বাধা দেন। তারা মানবঢাল তৈরি করে আসামি ফিরোজকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
বিএনপি নেতা মো. ওমর আলী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধুমাত্র পুলিশের কাছে তাদের পরিচয় জানতে চেয়েছি। এরমধ্যে লোকজন জমায়েত হলে আসামি ফিরোজ উলঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে আমাদের ভিডিও করে নিয়ে যায়। এখন শুনছি আমাদের কে আসামি ছিনতাই মামলায় আসামি করা হচ্ছে।
তাড়াশ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক তপন গোস্বামী বলেন, ওরা বিএনপি করে কিন্তু তাদের দলীয় কোন পদ নেই। তবে ওমর আলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদপ্রার্থী।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার আফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, আসামি ফিরোজ কে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :