ঢাকা: রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ায় টেক লিমিটেডের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে অনেক প্রয়োজনীয় নথিপত্র। এই ঘটনায় মারা গেছেন কোম্পানির ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জানা যায়, খাজা টাওয়ারে সাইফ পাওয়ার ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর একাধিক কার্যালয় রয়েছে। ভবনটির ৩য়. ৪র্থ, ৭ম, ১২তম, ১৩তম ও ১৪ তম তলায় এসব কার্যালয় অবস্থিত।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আমিনুজ্জামামসহ আহত হয়েছেন ১৮ জন। আহতরা হলেন, সেফটি অফিসার গোলাম রাব্বানী, এজিএম নাজমুল হাসান, হিসাব বিভাগের নূর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসন বিভাগের সুফী সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, অফিস এক্সিকিউটিভ নিজাম উদ্দিন, এইচ আর এক্সিকিউটিভ কায়সার আরাফাত এবং নিরাপত্তা প্রহরী চারজন যথাক্রমে- তারিকুল, শাকিল, আনোয়ার এবং মামুন প্রমুখ।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় একাধিক ফ্লোরে সাইফ পাওয়ারের অফিসগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। পুড়ে গেছে অনেক প্রয়োজনীয় নথিপত্র। কোম্পানির আসবাবপত্র এবং টেকনিক্যাল অনেক জিনিস।
কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মো. হাসান রেজা জানান, আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় এখনো সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি।
প্রকৌশল খাতে প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারের ব্যাপক সুনাম রয়েছে। প্রায় ২৭ বছর ধরে দেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে তারা। চট্টগ্রাম ও দুবাইয়ের বন্দরের মালামাল হ্যান্ডেলিং, নদী খনন, ব্যাটারি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পুন. নবায়নযোগ্য জ্বালানী, এলইডি লাটিং সল্যুশন, ফার্মাসিউটিক্যালসের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনসহ নানাবিধ মৌলিক ব্যবসা রয়েছে তাদের।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে খাজা ভবনে আগুন লাগে। ভবনের নয় তলায় এই আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন আরও কয়েকটি ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। বেলা সোয়া পাঁচটা নাগাদ ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুনে ভবনটিতে বেশ কিছু মানুষ আটকা পড়েন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পর্যায়ক্রমে তাদেরকে উদ্ধার করেন।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :