বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান ডিসিসিআই’র

ঢাকা: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ-এর সাথে বাংলাদেশ নিযুক্ত ভিয়েতনামের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর’২০) সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরো বেশি হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। 

ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন এবং সচিব মো. জয়নাল আব্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

ডিসিসিআই সভাপতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ঢাকা চেম্বার ও বাংলাদেশ নিযুক্ত ভিয়েতনামের দূতাবাসের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এবং বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বারের ভিয়েতনামের একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপনেরও প্রস্তাব করেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশের পর্যটন, টেক্সটাইল, সমুদ্র অর্থনীতি, কন্সট্রাকশন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রভৃতি খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, যেখানে ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাগন একক এবং যৌথভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। 

এসময় তিনি দুদেশের মধ্যকার যোগাযোগ আরো সহজতর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনেরও প্রস্তাব করেন। 

ডিসিসিআই সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ‘আশিয়ান’-এর পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পেলে ভিয়েতনামসহ আশিয়ান অঞ্চলের অন্যান্য দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে এখনও ভিয়েতনাম এগিয়ে রয়েছে এবং যেখানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দুদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৪২.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪৮.১৬ এবং ৬৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

তিনি দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যকার যোগাযোগ বাড়ানো ও ম্যাচ-মেকিং সেশনের আয়োজন করা, বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ, বাণিজ্য মেলা আয়োজন এবং বিজনেস নো-হাউ বাড়ানোর উপর জোরারোপ করেন। 

ফাম ভিয়েত চিয়েন বাংলাদেশ-ভিয়েতনামের মধ্যকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারের পক্ষ হতে ভিয়েতনামে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণের আহ্বান জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সম্ভাবনাময় পণ্যসমূহের বহুমুখীকরণ এবং রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচ