সম্পদ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে পদ্মা ব্যাংককে অব্যাহতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২১, ০৬:৫১ পিএম
সম্পদ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে পদ্মা ব্যাংককে অব্যাহতি

ফাইল ফটো

ঢাকা: বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে বেসরকারি পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডকে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান একটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন)এর ১২১ ধারায় ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড)-কে ৩১ অক্টোবর ২০১৭ হইতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত মেয়াদের জন্য একই আইনের ৩৩ ধারায় নির্দেশিত সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিল।

ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩৩ ধারায় বলে হয়েছে (১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানি চলতি বাজার দরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই পরিমাণ নগদ অর্থ বা স্বর্ণ দায়মুক্ত অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র সংরত্মগণ করিবে যাহার মূল্য উহার যে কোনো কার্য দিবসের সমাপ্তিতে উহার সমুদয় মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়ের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারের কম হইবে না৷

ব্যাখ্যা৷ এই ধারায় “দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র” বলিতে এইরূপ সম্পত্তির অনুমোদিত নিদর্শন-পত্রকেও বুঝাইবে, যাহা উক্ত ব্যাংক কর্তৃক কোনো অগ্রিম বা অন্যবিধ ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে  অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নিকট জমা রাখা হইয়াছে; তবে এইরূপ নিদর্শন-পত্রের মূল্যের সেই পরিমাণ এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইবে যে পরিমাণ যে পরিমান অর্থ উক্ত নিদর্শন-পত্রের বিপরীতে গ্রহণ করা হয় নাই।

১৪২ (২) কোনো ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক Bangladesh Bank Order,1972 (P.O No. 127of 1972)এর সেকশন ৩৬ কিংবা ধারা ২৫ এর উদ্দেশ্যে পূরণকধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট চলতি হিসাবে রইিত নগদ জমার অতিরিক্ত অর্থ এবং নিজের নিকট বা বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো প্রতিনিধি ব্যাংকের নিকটে চলতি হিসাবে জমা অর্থ এবং/বা বাংলাদেশ ব্যাংকে লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি ভিত্তিক জমা হিসাবে রক্ষিত অর্থ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত অন্য কোনো হিসাবে রক্ষিত অর্থ উপ-ধারা (১)এ উল্লিখিত অর্থ গণনার ক্ষেত্রে নগদ অর্থহিসাবে গণ্য হইবে।

ব্যাখ্যা - এই উপ-ধারায় “প্রতিনিধি ব্যাংক” বলিতে কোনো তফসিলি ব্যাংক-কোম্পানির এমন শাখাকে বুঝাইবে যাহা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ক্লিয়ারিং হাউজ পরিচালনা করে।

(৩) সম্পদ ও দায় নিরূপণ পদ্ধতি এবং শ্রেণীভিক্তিতে সংরক্ষণযোগ্য সম্পদের অনুপাত বাংলাদেশে ব্যাংক নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে;

ব্যাখ্যা: “এই ধারায় “দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র” বরিতে এই রূপসম্পত্তিকে অনুমোদিত নিদর্শন-পত্রকেও বুঝাইবে, যাহা উক্ত ব্যাংক কর্তৃক কোন অগ্রিম বা অন্যবিধ ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নিকট জমা রাখা হইয়াছে; তবে এইরূপ নিদর্শন-পত্রে মূল্যের সেই পরিমান এই সংজ্ঞার অন্তভুক্ত হইবে যে পরিমাণ অর্থ উক্ত নিদর্শন পত্রের বিপরীতে গ্রহণ করা হয় নাই।

ব্যাখ্যা৷- এই ধারায় “দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র” বলিতে এইরূপ সম্পতির  অনুমোদিত নিদর্শন-পত্রকেও বুঝাইবে, যাহা উক্ত ব্যাংক কর্তৃক কোনো অগ্রিম বা অন্যবিধ ঋণ গ্রহণের  উদ্দেশ্যে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নিকট জমা রাখা হইয়াছে; তবে এইরূপ নিদর্শন-পত্রের মূল্যের সেই  পরিমাণ এই সংজ্ঞার অন্তভুক্ত হইবে যে পরিমাণ অর্থ উক্ত নিদর্শন-পত্রের বিপরীতে গ্রহণ করা হয় নাই৷ (ক) এই ধারা মোতাবেক সংরক্ষিত উহার সম্পদ; এবং (খ) মাসের প্রতি বৃহস্পতিবারের Negotiable instruments act 1988 xxvi of 1881) এর অধীনে সরকারী ছুটির দিন থাকিলে, উহার পূর্ববর্তী কার্যদিবসের সমাপ্তিতে, বাংলাদেশ অভ্যান্তরে উহার মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়। 

(৫) যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোনো ব্যাংক কোম্পানি নির্ধারিত বিনিয়োগযোগ্য সম্পদের  সংরক্ষণ করিতে কোন সময়ে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানিকে উল্লিখিত সম্পদ ঘাটতি জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদানের জন্য ধার্যকৃত হারে জরিমানা দিতে বাধ্য থাকিবে।

সোনালীনিউজ/আরএইচ

Link copied!