এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টিতে কাজ করছে বাংলাদেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১, ০৪:০৮ পিএম
এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টিতে কাজ করছে বাংলাদেশ

ফাইল ফটো

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার সাথে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার (২৬ মে) বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত “বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এফটিএ : চ্যালেঞ্জেস এন্ড অপারচুনিটি” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্ররুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন চুড়ান্ত পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ এ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। মালয়েশিয়া এখানে বিনিয়োগ করলে আভবান হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষনীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন আকর্ষনীয় স্থান।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজীকরণের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার বাইলেটারেল ট্রেড এগ্রিমেন্ট, ১৯৮৩ সালে মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট এগ্রিমেন্ট, ১৯৯২ সালে ইকোনমিক এন্ড টেকনিকেল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট এবং ১৯৯৪ সালে এভোয়েডেন্স অফ ডাবল টেক্সেশন এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে।
 
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল (রকি) এর সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিষয়ের উপর কীনোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের সদস্য ড. মোস্তফা আবীদ খান। আলোচনা সভার গেষ্ট অফ অনার বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম (ঐধুহধয সফ. ঐধংযরস) এবং মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বিএমসিসিআই এ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, স্ট্যান্ডার্ড মালয়েশিয়ার সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবরার আনোয়ার, এসভিসি ঝিলমিল রেসিডেনশিয়াল বিডি লি. এর চেয়ারপারসন ড. সাবরিনা। 

অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার শহীদ।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Link copied!