ঢাকা: দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠা এবং শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ)।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে এক বৈঠকে বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এর নেতৃত্বে ব্যবসায়ী সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল এ অনুরোধ জানান।
সভায় বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এমপি, সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও পরিচালক এম. এহসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ নেতারা বলেন, দেশে কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ এর কারণে পোশাক শিল্পের কঠিন সময় দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং শিল্প এখনও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া, ইউরোপসহ বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলো এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি।
তারা আরও বলেন, আশা করা হয়েছিলো যে মহামারি পরিস্থিতির উন্নয়নের সাথে সাথে পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সমর্থ হবে। কিন্তু নতুন ভ্যারিয়েন্ট এর বিস্তার ও সংক্রমণ শিল্পকে আবার নতুন করে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে।
এসময় সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনায় তৈরি পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখার নিমিত্তে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দানের জন্য প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের কিস্তির সংখ্যা ১৮টি’র পরিবর্তে ৩৬টি করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য অর্থ সচিবকে অনুরোধ জানান বিজিএমইএ নেতারা।
তারা রুগ্ন/বন্ধ ১৩৩টি তৈরি পোশাক কারখানাকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানসমূহের মূল ঋণ ও আয়খাতে নীট সুদ অবসায়নের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
যেসব উদ্যোক্তারা নিরাপদে ব্যবসা বন্ধ করতে চান, তাদের জন্য ‘চ্যাপ্টার ১১’ এর অনুরূপ ব্যবসা থেকে প্রস্থান নীতি প্রনয়নের জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন বিজিএমইএ নেতারা। তারা বলেন, আমাদের অধিকাংশ প্রতিযোগী দেশগুলোতে‘চ্যাপ্টার ১১’ এর অনুরূপ ব্যবসা থেকে সম্মানজনক প্রস্থান নীতি বিদ্যমান রয়েছে।
তারা আরও বলেন, কোন গ্রুপ অব কোম্পানীর একটি প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপী হলে অন্যান্য প্রাইভেট লিঃ প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, ব্যবসা পরিচালনা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাংক ঋণ সুবিধার অভাবে নিয়মিত ভাল প্রতিষ্ঠানসমূহও পর্যায়ক্রমে ঋণ খেলাপী হতে বাধ্য হয় এবং তাদের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করার কোন সুযোগ থাকেনা।
সভায় বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল সরকারকে কোন ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপের যে কোন একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপীর কারণে সহযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চলমান ঋণ ও ব্যাংক সুবিধাদী বন্ধ না করে, খেলাপী ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের সুযোগ দিয়ে ঋণ সুবিধা বহাল রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানান।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :