ঢাকা : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ই-কমার্সের কারণে অনেক গ্রাহকের অর্থ নষ্ট হয়েছে। এখন অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে, যাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে তাদের যদি ব্যবসা করতে দিয়ে কঠিনভাবে অবজারবেশন করা হতো তাহলে কিছুটা ক্ষতি কাভার করতে পারতো। এ ধরনের সাজেশন আসছে। এ বিষয়গুলো কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সম্মেলন কক্ষে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২১-ভার্চুয়াল সংস্করণ’ নামে সপ্তাহব্যাপী অনলাইন মেলার আয়োজন উপলক্ষে করা এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে প্রতারণার অভিযোগে আলোচিত ই-কমার্স ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মালিকরা জেলখানায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের কী হবে?- এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কাউকে জেলখানায় পাঠিয়ে দিলে তো কোনো লাভ নেই। সে জেল খেটেই শেষ, এতে কোনো উপকার হবে না। ই-কমার্সের সার্বিক বিষয়ে মন্ত্রণালয় পজিটিভলি চেষ্টা করছে, কিছু একটা করা যায় কী না।
টিপু মুনশি বলেন, জেলখানায় নেওয়া সমাধান নয়, আমরা সার্বিক বিষয়গুলো অবজারভেশন করছি। আমরাসহ চার মন্ত্রণালয় (অর্থ, বাণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র) বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। তাদের অবস্থান নির্ণয় করা হচ্ছে, কোনো উন্নতি করা যায় কিনা সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে।
ইভ্যালি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অনেক বড় গ্রুপ অব কোম্পানি বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল, কিন্তু নেতিবাচক এসব ঘটনার কারণে তারা সরে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় ভার্চুয়াল মেলার আয়োজন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২১-ভার্চুয়াল সংস্করণ’ নামের অনলাইন এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরাে। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ৭ দিনব্যাপী এ মেলা আগামী ১৮ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :