দাম বেড়েছে চালের, কমেছে মুরগির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ১২:০০ পিএম
দাম বেড়েছে চালের, কমেছে মুরগির

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ১টাকা বেড়েছে। তবে এই সাত দিনের ব্যবধানে বাজারে মুরগি দাম আরো কমছে। এছাড়া বাজারে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।  

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া এসেছ।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নাজিরশাইল চাল কেজিতে ১ টাকা দাম বেড়ে ৭১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালেও ১ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা।  

ব্যবসায়ীরা বলছে, বাজারে ধানের দাম বাড়ায় সব ধরনের চালের কেজিতে আরও ১ টাকা দাম বেড়েছে। চালের দাম বাড়ার মূল কারণ সিন্ডিকেট, এ ছাড়া আর কিছুই নয়।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। গতসপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৭০ টাকা। তবে বাজারে লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই মুরগিটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।  

শীতে বরাবরই মুরগির দাম একটু কম থাকে। এখনও শীত বাড়ায় মুরগিটির দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মুরগির বাজারে চলমান বিধি-নিষেধের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হলেও তা পড়েনি।

অন্যদিকে বাজারে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এসব বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

পুরান ও নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহেও আলু ও পেঁয়াজ এই দামেই বিক্রি হয়েছিলো।

বাজারে দাম কমেছে চায়না রসুনের। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে চায়না রসুন বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুসুর ডাল। দেশি ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।  

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।  যা গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছিলো।

সোনালীনিউজ/এমএইচ/এমটিআই

Link copied!