মসলার দাম নিয়ে সংকট কাটছে না 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩, ১০:২১ এএম
মসলার দাম নিয়ে সংকট কাটছে না 

ঢাকা: কোরবানির ঈদ ঘিরে কয়েকটি মসলার দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বাজারে এসব পণ্য কিনতে অস্বস্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

ডলার, এলসি সংকটের পাশাপাশি পাইকারি ব্যবসায়ীদের রয়েছে সিন্ডিকেট। খুচরায় লাগামহীন দাম রাখলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় ভুগতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

ঈদকে কেন্দ্র করে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা, হলুদ, মরিচ, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জয়ত্রিসহ মসলাজাতীয় সব পণ্যের চাহিদা তুঙ্গে। যদিও দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। 

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ও খোলাবাজারের তথ্য বলছে, অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আদার দাম। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন বিক্রি হচ্ছে তিনগুণের বেশি দামে। গত বছরের এই সময়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকা আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।

একইভাবে গত বছর যেখানে পেঁয়াজের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ছিল, তা এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে রসুনের দামও, গত বছরের ৬০ থেকে ৯০ টাকার দেশি রসুন এখন ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় উঠেছে। এছাড়া বাজারে শুকনা মরিচ ও জিরার দাম হয়েছে দ্বিগুণ। তেজপাতা, হলুদ, গোলমরিচ, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জয়ত্রির দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ২৫ শতাংশ।

যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে প্রচুর মসলা এসেছে দেশে। পাশাপাশি মসলা উৎপাদন বাড়াতে সরকারের উদ্যোগ রয়েছে। তারপরও প্রায় অর্ধেক মসলা আমদানি করতে হচ্ছে প্রতি বছর। সেজন্য এ খাতে দেশ থেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। তারপরেও ক্রেতার স্বস্তি মিলছে না এসব কিনতে গিয়ে।

মসলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে জিরা ও দারুচিনি। এছাড়া এলাচ, গোলমরিচ, জয়ত্রির মতো মসলাগুলো পুরোপুরি আমদানিনির্ভর।

গত রোজার ঈদের পর থেকে জিরার দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ৪০০ টাকার মধ্যে থাকা জিরা এখন ৯০০ টাকায় ঠেকেছে।

বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েত উল্লাহ জানান, ডলারের দাম বাড়ায় মসলার দাম বেড়েছে। এছাড়া মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করতে গিয়ে এখন নানা রকম জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। এলসি জটিলতা প্রকট।

সোনালীনিউজ/এআর

Link copied!