ঢাকা: আইডিআরএ’র নিয়ম পরিপন্থি কোম্পানির প্রায় ২ কোটি টাকা বাকি ব্যবসা, শ্রম বীমা ও সরকারি আইন অমান্য করে কর্মচারীদের কর্ম ঘণ্টা বাড়িয়ে অপচয় বৃদ্ধি, কোম্পানি পরিচালনার জন্য সর্বপ্রকার আইন অমান্য করে অবৈধ কাজ করার উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেওয়া, আইডিআরএ’র নিয়ম থাকা সত্ত্বেও প্রাপ্য কমিশন তার পছন্দ মত বিতরণ করা, অন্যায়ভাবে কর্মচারি ছাঁটাই, কর্মচারীদের কথায় কথায় খারাপ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানান অভিযোগ উঠেছে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ইসলামি ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রস্তাবিত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুল খালেক মিয়ার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বরাবর কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করেছে বলে আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আব্দুল খালেক মিয়া বিভিন্নভাবে কথায় কথায় কর্মীদের ছাঁটাই করার হুমকি দিচ্ছেন যেটা শ্রম-বীমা ও সরকারি আইনরে পরিপন্থি। এতে করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত, এতে করে অফিসের দৈনন্দিন কাজে ব্যঘাত ঘটছে।
সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সাথে তিনি খারাপ আচরণ করছেন এবং কথায় কথায় খারাপ ভাষা প্রয়োগ করছেন, যা তিনি তার ক্ষতার অপব্যবহার করছেন। শ্রম-বীমা ও সরকারি আইন অমান্য করে কর্মঘণ্টা সবার জন্য বৃদ্ধি করে অপচয় বাড়াচ্ছেন।
সরকারি সার্কূলাওে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করার পরেও তিনি সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৬ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করেছেন যেটা কর্মকর্তা কর্মচারিদের জন্য মানসিক ভাবে অত্যাচারের শামিল। কোম্পানির পরিচালনার জন্য সর্বপ্রকার আইন অমান্য করে অবৈধ কাজ করার উৎসাহ ও উদ্দীপনা তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।
এছাড়াও কোম্পানিতে আব্দুল খালেক মিয়া জয়েন করার পূর্বে কোম্পানিতে আইডিআরএ’র নিয়ম অনুযায়ী কমিশন প্রদান করা হত তিনি জয়েন করার পরে তার ইচ্ছা মত কমিশন প্রদান করছেন যা আইডিআরএ’র নিয়ম বহির্ভূত। এর আগের কোম্পানি থেকে দূর্নীতির দায়ে তাকে কোম্পানি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।
তিনি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৬ কোটি টাকা বাকি ব্যবসা করেছেন এবং ইসলামি ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যবসা করেছেন যা আইডিআরএ’র নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্থি।
উল্লেখ্য, কোম্পানির পক্ষ থেকে আব্দুল খালেককে সিইও অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আইডিআরএ-তে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আইডিআরএ তার সনদপত্র যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট বোর্ডে চিঠি দিয়েছে।তবে এখনও যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়নি।এজন্য আব্দুল খালেকের সিইও পদে অনুমোদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অফিস সময় বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামি ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সচিব মো. আব্দুর রাজ্জাক সোনালী নিউজকে বলেন, অফিস সময় বৃদ্ধির বিষয়টি এডমিন বিভাগ জানে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইসলামি ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) ফোন করে সময় চাওয়া হলে তিনি দেখা করার কথা বলেন। এরপর দেখা করার জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন কেটে দিয়েছেন। এজন্য অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সোনালীনিউজ/এএইচ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :