শেয়ারবাজারে সাড়ে পাঁচশোর মতো এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন নিয়েছি: বিএসইসির চেয়ারম্যান 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৩, ১১:১২ এএম
শেয়ারবাজারে সাড়ে পাঁচশোর মতো এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন নিয়েছি: বিএসইসির চেয়ারম্যান 

ঢাকা: আমরা ফ্রড অ্যান্ড স্ক্যাম নিয়ে কাজ করি। গত এক বছরে আমরা প্রায় সাড়ে পাঁচশোর মতো এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন নিয়েছি। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমরা অনেক কিছুই প্রকাশ করি না বাজারের স্বার্থে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) ও সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশের (সিসিবিএল) আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, দেশের এক শতাংশ মানুষও শেয়ারবাজার বোঝে না। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী, সরকার এবং আমার সমালোচনা করবে।

তিনি বলেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের এখানে প্যানিক সৃষ্টি করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যতো ভিউ, ততো পয়সা। যারা এই পয়সার লোভে পড়ে যায় তারাই এসব ভুয়া তথ্য ছড়ায়। এসব ভুয়া নিউজের আবার মিলিয়ন ভিউ হয়। এথিকসের নিউজ এখন আর চলে না। তাই আপনারা ভুয়া তথ্য ও সংবাদ প্রতিহত করুন।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, কেউ যদি কোন ধরণের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত, শেয়ারবাজারে বড় কোন ঘটনা ঘটায় আমরা ব্যবস্থা নিই। সিডিবিএল সিসিবিএল একসঙ্গে কাজ করলে সামনে অনিয়ম কমানো আরও সহজ হবে। আমরা এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশনে যেতে চাই না। আমরা একটি সুন্দর শেয়ারবাজার চাই।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, টাকা আয়ের জন্য ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন অনেকে। তারা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে চায়। মানুষ এগুলো পড়েও বেশি। বাজার অনেক স্পর্শকাতর হওয়ায় মানুষ ভয় পায়। এর ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সবাইকে সম্মিলিত ভাবে মিথ্যা নিউজ যারা দিচ্ছে তাদের প্রতিহত করতে হবে। এটা নিয়ে আপনাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা বাজার ঠিক করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। তবে অস্থিরতা শুরু হলে মানুষ টাকা নিয়ে চলে যাবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করে যাচ্ছি। অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হলে তা সব বিফলে যাবে। শহরের মধ্যে এরকম ডিজাইনে এয়ারপোর্ট করা খুবই বিশ্বমানের। এটিও করা সম্ভব হয়েছে। ১৫-৩৫ টা বিদেশি এয়ারলাইনস এখানে আসতে চায়। বিশেষ করে অনেক ইউরোপীয় এয়ারলাইনস। তারা বুঝতে পেরেছে এখানে অনেক ব্যবসা আছে। লস করতে তারা এখানে আসবে না।

এমএস

Link copied!