বন্ডে লেনদেনের ওপর কর প্রত্যাহার চায় সিএসই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ১১:০৩ এএম
বন্ডে লেনদেনের ওপর কর প্রত্যাহার চায় সিএসই

ফাইল ছবি

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বন্ডে লেনদেনের ওপর কর প্রত্যাহার চেয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের ব্যবধান ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানি তার মুনাফার উপর কর দিয়ে থাকে। পুনরায় লভ্যাংশ বিতরনের সময় কর কর্তন দ্বৈত করের সৃষ্টি করে। সুতরাং উৎসে কর পরিহার করা গেলে বেশি লভ্যাংশ বন্টণের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়া এক স্তর কর কাঠামোর ফলে কর আদায় প্রক্রিয়া সহজ হবে। অপরদিকে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানীর মধ্যে করহারের পার্থক্য বাড়লে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানী তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। এতে পুঁজিবাজার সমৃদ্ধ হবে এবং স্বচ্ছ কর্পোরেট রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

এছাড়া এসএমই ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে কর সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব তুলে ধরেছে সিএসই। এসএমই ও এটিবিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে প্রথম তিন বছরের জন্য কর অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে বলে দাবি তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অপরদিকে বন্ডে লেনদেনের ওপর কর প্রত্যাহার চেয়েছে সিএসই। ২০২৩ সালের আয়কর আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের পূর্বঅনুমোদন গ্রহণ করে কোনো ব্যাংক, বিমা, বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইস্যুকরা জিরো কুপন বন্ড থেকে হওয়া আয়কে কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

তবে জিরো কুপন বন্ডের মতো অন্য বন্ডগুলো (কর্পোরেট বন্ড, সরকারি সিকিউরিটিজ ইত্যাদি) থেকে আয়কেও কর অব্যাহতি প্রদান করা যেতে পারে বলে দাবি জানিয়েছে সিএসই। প্রস্তাবে সিএসই জানায়, দেশে ক্রমবর্ধমান অবকাঠামোগত উন্নয়ণ ও দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের লক্ষ্যে একটি স্থিতিশীল শক্তিশালী বন্ড মার্কেট দরকার। একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট গঠন ও নতুন বন্ডের তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বাজারে পন্যের বৈচিত্রতা আনার জন্য এরকম সুবিধা দেওয় প্রয়োজন।

সিএসই’র অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- একক লেনদেন ও নির্ধারিত নগদ ব্যয় ও বিনিয়োগসীমা পুনঃনির্ধারণ, স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ওপর বিদ্যমান আয়কর পুনঃনির্ধারণ, পরামর্শ বা কনসালটেন্সি সেবা ও কারিগরি সেবা, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো এবং সাধারণ কর রেয়াতের জন্য প্রযোজ্য বিনিয়োগ ও ব্যয়।

সোনালীনিউজ/এসআই

Link copied!