প্রধানমন্ত্রীর ফুড সেফটি কার্যক্রম নিয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ক্ষোভ

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর ফুড সেফটি কার্যক্রম নিয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ক্ষোভ

ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দায় কেউ এড়াতে পারে না। ভবন মালিক, রেস্তোরাঁ মালিক কিংবা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বা সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর সবারই দায় রয়েছে। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. ইমরান হাসান রোববার (৩ মার্চ) বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া ভবন পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।

ইমরান হাসান বলেন, ‘আমরা এ ঘটনা থেকে দূরে সরে যেতে চাই না। আর এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেজন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো—বাংলাদেশের সব রেস্তোরাঁ মনিটরিং করার, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। সেজন্য আমরা বিভিন্ন দফতরে এক হাজারের বেশি চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা পাইনি। আমাদের কেউ সহযোগিতা করেনি।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এর আগে ফুড সেফটি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন। কিন্তু সেই কার্যক্রম এতটাই ক্ষীণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা চাই একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হোক। আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দেশে যত রেস্তোরাঁ আছে, তাদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, তাদের সব সেফটি যেন নিশ্চিত করা হয়। যারা আমাদের নির্ধারিত নির্দেশনা মেনে চলতে পারবে না, তারা তাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবে। তাদের ব্যবসা করার দরকার নেই।’

ইমরান হাসান বলেন, ‘তবে এক্ষেত্রে কোনও রেস্তোরাঁ মালিকের ওপর যেন জুলুম করা না হয়। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আপনারা জানেন, কোনও ঘটনা ঘটার পর সবাই হইচই শুরু করে। কারণ, এই সেক্টরে বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। এখানে ৩০ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। রেস্তোরাঁ খাতে ২০ শতাংশ ভোক্তা রয়েছে। এতে জড়িত রয়েছেন যেমন ব্যবসায়ীরা, তেমনই জড়িত রয়েছেন কৃষক। এটি একটি শিল্প, এই শিল্পের সুরক্ষা বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা চাই।’

আইএ

Link copied!