বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিসিআই‍‍’র সৌজন্য সাক্ষাত 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিসিআই‍‍’র সৌজন্য সাক্ষাত 

ঢাকা: বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরীর (পারভেজ) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, এমপির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। 

সভার শুরুতে প্রতিমন্ত্রীকে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ হতে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং বিসিআই এর ‘আমার পণ্য আমার দেশ’ লোগো সম্বলিত একটি ফ্রেম উপহার দেওয়া হয়।

সাক্ষাতকালে বিসিআই সভাপতি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় বিসিআই এর পক্ষ হতে আমরা আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আপনার দৃশ্যমান বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার নানামুখি উদ্যোগের সামনে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বিসিআই সমগ্র বাংলাদেশ ভিত্তিক একক এবং একমাত্র জাতীয় শিল্প চেম্বার বিসিআই স্থানীয় সকল শিল্পের উন্নয়নের পথে সর্বপ্রকার প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কাজ করে চলেছে। 

দেশের শিল্প খাত বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছে। উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির কারণে পণ্যের চাহিদা কমায় সব প্রতিষ্ঠানের সেলস ড্রপ করেছে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহ তার ৬০-৭০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে। 

গ্যাসের প্রেসার কম, ঋনের উচ্চ সূদ হার আবার ব্যাংক সমূহ প্রপার সাপোর্ট দিতে পারছে না। সবকিছু মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশীয় শিল্প।

সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য মূদ্রাস্ফীতি ৬% নিয়ে আসা। আমরা মনে করি মূদ্রাস্ফীতির সময় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কর্মসংস্থান ধরে রাখা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে ব্যাংক সমূহ বন্ডে বিনিয়োগের দিকে উৎসাহিত হচ্ছে। 

এর ফলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিবে। নতুন বিনিয়োগ আসবে না সাথে সাথে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে। আমাদের এখন বর্তমান শিল্প সমূহকে বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরী। আমরা আপনার কাছে অনুরোধ করবো যে, দেশের শিল্প সমূহের ক্যাশফ্লো যেন স্বাভাবিক থাকে। আর একটা বিষয় হচ্ছে, ইপিবি এবং এনবিআরের রপ্তানি তথ্যের মধ্যে একটি গড়মিল আছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বিসিআইর পরিচালকদের বক্তব্য শোনেন এবং বলেন, দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট জুনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। শিল্পের জন্য তারল্য সংকট যতটা ধারণা করা হচ্ছে ততটা থাকবে না। আমার রপ্তানিমূখি শিল্পের জন্য দেশের বাইরের ফান্ডে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটা ফান্ড গঠন করার চেষ্টা করছি। 

আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা এবং ঢাকার আশেপাশের শিল্প এলাকার শিল্প শ্রমিকদেরকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় এনে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে ৫-৬ টা নিত্য পণ্য দিতে চাই এ ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা দরকার হবে।

সভায় বিসিআইর সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, পবিচালকবর্গ, শহীদুল ইসলাম নিরু, ড. দেলোয়ার হোসেন রাজা, আবুল কালাম ভূঁইয়া, এবং তপন কান্তি ঘোষ, সিনিয়র সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন।

এআর

Link copied!