শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় আনতে ডিসিদের চিঠি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় আনতে ডিসিদের চিঠি

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি জেলার সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৪ মার্চ আইডিআরএ চেয়ারম্যান চিঠিতে সই করেন।

সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে বীমার আওতায় আনতে চায় আইডিআরএ। এ লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ প্রকল্প।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ পরিকল্প প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের ১ মার্চ। আইডিআরএর তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্প জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে দুই বছরের জন্য সীমিত পরিসরে পাইলটিং করা হয়।

২০২৩ সালে এটি সব জীবন বীমা কোম্পানির মাধ্যমে বাজারজাতকরণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ফলে গত বছরে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী এ বীমা পরিকল্পের আওতায় এসেছে। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের এ বীমার আওতায় আনা হয়েছে, যার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্পটির উদ্দেশ্য দেশের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ। এ বীমার আওতায় ৩ থেকে ১৭ বছরের কোনো শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবক এই বীমা সুবিধার আওতায় আসতে পারেন।

বছরে মাত্র ৮৫ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে এ বীমার আওতায় আসার পর কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যুতে শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি পাবে, যা শিক্ষার্থীর পড়াশোনা চলমান রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বার্ষিক প্রিমিয়াম আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করে বর্ধিত বীমা সুবিধা (মাসিক বৃত্তি) পাওয়া যাবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসন বা তার অধীনস্ত কার্যালয় জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় সম্পৃক্ত থাকেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে থাকে; যেমন কালেক্টরেট স্কুল, বিয়াম স্কুল ইত্যাদি। জেলা প্রশাসকরা উদ্যোগ নিয়ে জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের এ শিক্ষা বীমার আওতায় আনতে পারেন। এর ফলে ঝরে পড়ার হার রোধসহ সার্বিকভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি হবে।

এ অবস্থায় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ পরিকল্পের কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে জেলার সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি ও মাদরাসার সব শিক্ষার্থীকে এই পরিকল্পের আওতাভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে চিঠিতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়।

এএইচ/আইএ

Link copied!