ঢাকা চেম্বার সভাপতি

অর্থনীতির চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়োপযোগী বাজেট

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
অর্থনীতির চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়োপযোগী বাজেট

ঢাকা: এ বছর সরকার প্রস্তাবিত বাজটে রাজস্ব আহরণের উপর রাজস্ব আদায়, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন আমদানি শুল্ক ও উৎসে কর কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা রয়েছে। প্রায় ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি আশরাফ আহমেদ। 

বাজেট পরবর্তী ডিসিসিআই আয়োজিত এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিগত বছরের চাইতে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণের হার ১১.৮২ শতাংশ কম নির্ধারণ করা হয়েছে, তারপরও এটি অনেক বেশি, যা বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে। ২০২৪-২৫, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কর ব্যবস্থা চালুকরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার। তিনি এসএমই খাতের জন্য পৃথক ট্যাক্স কোড প্রবর্তনের জন্য আহ্বান জানান এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওয়ায় কর প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরনের আহ্বান জানান। 

‘এবছর বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪.৬ শতাংশ, যা বিগত বছরের চাইতে কম, তবে প্রবৃদ্ধি অর্জনে তা বাধাগ্রস্থ হবে না। তবে তিনি করজাল বৃদ্ধির জন্য জোরারোপ করেন। আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত ১০শতাংশের কম, এটাকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৩০শতাংশে উন্নীত করতে হবে।’

তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আমাদের আর্থিক খাতে তারল্য সংকট দ্রুত নিরসন করা প্রয়োজন। যদিও বিষয়টি বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপট ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। 

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার এই বাজেটে বেশকিছু জায়গায় কর ও মূসক কমিয়েছে আবার কিছু কিছু পণ্যের উপর কর হার বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তা ব্যবসা-বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে না। বাজেটের ভালো উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করাই এ বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর শর্তসাপেক্ষে ২.৫ শতাংশ কর্পোরেট কর কমানোর উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি এডিপি বাস্তবায়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন।

এএইচ/আইএ

Link copied!