বিএসইসির চেয়ারম্যান 

বিজনেস সামিট দেশের অর্থনীতির নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৪, ০১:২০ পিএম
বিজনেস সামিট দেশের অর্থনীতির নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে

ঢাকা: চীনে বিজনেস সামিট আয়োজন বিষয়ে বেইজিংয়ে অবস্থানরত বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এই বিজনেস সামিট বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে।

মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) সকালে বেইজিংয়ের এক হোটেলে আয়োজিত চীনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্মেলনে ‘দ্যা রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে আরও উপস্থিত আছেন উভয় দেশের সরকারের নীতিনির্ধারক এবং সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী এবং বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের সহ-আয়োজক বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হবে এই সামিটে। বিশেষ করে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কীভাবে শেয়ারবাজারে সরাসরি বিনিয়োগ করবেন তার কৌশল ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় তুলে ধরা হবে।

চীনে বিজনেস সামিট আয়োজন বিষয়ে বেইজিংয়ে অবস্থানরত বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে অতীতে আমারা যেসব রোড শো করেছি তার চেয়ে আমরা এবার অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। এই আয়োজন নিয়ে এখানে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। আশা করছি চীনের সাথে আমাদের বন্ধুত্বের যে সম্পর্ক আছে সেটা আরো মজবুত হবে। সম্পর্কের আরো একটা নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বড় বড় অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাংলাদেশে চীনের শিল্প স্থাপন, বাণিজ্য ঘাটতি কমায়ে আনা সাত বিলিয়ন ডলারের ঋণসহায়তা ও দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নে চীন সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ জুলাই চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি চীনের বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইট এদিন সকাল ১১টা ১০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর বেইজিং স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি বেইজিং অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে জানা গেছে।

এমএস

Link copied!