কারফিউ শিথিলে দাম কমেছে মাছের, বেড়েছে মুরগির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
কারফিউ শিথিলে দাম কমেছে মাছের, বেড়েছে মুরগির

ঢাকা: দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সব কিছুর দাম বেড়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে বেড়েছে পণ্য সরবারাহ। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের পণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন হচ্ছে, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। মাছের দাম গত সপ্তাহ থেকে কিছুটা কমলেও ৫-১০ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম।

গত সপ্তাহে কোটা আন্দোলন ঘিরে পণ্য সরবরাহ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় দামও বেড়ে গিয়েছিল। তবে চলতি সপ্তাহের শুরুতে অর্থাৎ শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে সরবরাহ বাড়ার চিত্র। যার ফলে কিছু কিছু পণ্যের দামে মিলেছে স্বস্তি।

গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে, যা গত সপ্তাহে বাড়তি ছিল। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। অথচ এ সপ্তাহের শুরুতেও খুচরা বাজার থেকে ক্রেতারা ১৭০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি কিনেছে।

বাজারে ইলিশের পাইকারি দাম ছিল একটু ভিন্ন। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের দাম ১০০০ টাকা। আর এক কেজি বা এরচেয়ে বেশি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়। এছাড়া জাটকা ইলিশ বিক্রি হয় ৬০০ টাকায়।

এছাড়া ছোট কাছকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, পুঁটি মাছ ৩৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়, নদীর চিংড়ি ১০০০ টাকা এবং বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

এছাড়া ছোট চিংড়ির কেজি ৭০০ টাকা। এক কেজি ওজনের আইড় মাছের দাম ৯০০ টাকা আর দুই কেজি ওজনের মাছ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

মাঝারি সাইজের চিংড়ির দাম নেওয়া হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা। কাছকি মাছ ১৭০ টাকা আর বরিশালের লইট্টা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। আরেক মাছ বিক্রেতা তারা মিয়ার দোকানে বাগেরহাটের রুই মাছ ২৩০-২৫০ টাকা কেজি আর সাতক্ষীরার গেরের বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে গ্লাসকাপ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, ছোট রুই ২২০ টাকা আর বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়া পাঙাসের কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।

দুই কেজির বেশি ওজনের কাতল ৩৬০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৩৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া শিং মাছ ৪০০ টাকা কেজি ও গুল্লা মাছ ৫৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কোরাল মাছ ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে লাল লেয়ার মুরগি কিনতে কেজিপ্রতি ক্রেতার গুনতে হচ্ছে ৩৫০ টাকা। এক্ষেত্রে দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের একটি মুরগির দাম পড়ছে ৭০০-৮৭৫ টাকা। এ অবস্থায় বেশ বিপাকেই পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

গত সপ্তাহ এবং চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকের তুলনায় এখন সব জাতের মুরগির দাম কেজিতে সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির দাম আগের তুলনায় এখন সহনীয়। একটা সময় তো ২১০ টাকা কেজি দাম উঠেছিল। সে অনুযায়ী এখন বাজার স্বাভাবিক। আন্দোলন না থাকলে আগের মতোই স্বাভাবিক দামে আমরা বিক্রি করতে পারতাম। এখন আড়ত থেকে বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

এএইচ/আইএ

Link copied!