ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের প্রদত্ত ঋণের একটা বড় অংশ খেলাপি (ক্লাসিফাইড) হয়ে গেছে। যাতে কোম্পানিটিকে বড় সঞ্চিতি (প্রভিশন) গঠনের দরকার পড়েছে। তবে সেটার পরিমাণ এতোই বেশি যে, যা ৫ বছর লাগবে সমন্বয় করতে। যাতে আগামি বছরগুলোতে কোম্পানিটির ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির বিনিয়োগ বা প্রদত্ত ঋণ ও লীজের বিপরীতে সঞ্চিতি ঘাটতি ৩০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। যা সমন্বয়ের জন্য সময় চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। যার আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক তা মঞ্জুর করেছে এবং ৫ বছর সময় দিয়েছে।
এ কোম্পানিটির ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রদত্ত ঋণ ও লীজের পরিমাণ ৯৫৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৩১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বা ৩৩% ক্লাসিফাইড। ঋণের এই শোচণীয় অবস্থায় কোম্পানিটির ২০২৩ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪.৬৬ টাকা। যাতে দিতে পারেনি লভ্যাংশ।
এদিকে মাইডাস ফাইন্যান্সে ৫৪ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে। যা আর্থিক হিসাবে অন্যান্য দায়ের মধ্যে দেখিয়েছে। কিন্তু বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি অবন্টিত লভ্যাংশকে পৃথক হিসাবে দেখাতে হয়।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৪৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬১.৩৩ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির সোমবার (০৭ অক্টোবর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৮.১০ টাকায়।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :