ঢাকা: কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিট গ্রুপের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তরের দ্বিতীয় টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
সোমবার (৭ অক্টোবর) চুক্তিটি বাতিল করা হয়।
সামিটকে পাঠানো পেট্রোবাংলার এ–সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, চুক্তির কিছু শর্তভঙ্গের দায়ে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এর মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পারফরম্যান্স গ্যারান্টির টাকা জমা না দেওয়ার বিষয়ও আছে।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিটের বর্তমান টার্মিনালটি থেকে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। নতুন আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি হয় গত ৩০ মার্চ। একই দিনে বছরে ১৫ লাখ টন এলএনজি সরবরাহে আরেকটি চুক্তি করে সামিট। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল থেকে এলএনজি সরবরাহের কথা। নতুন টার্মিনাল নির্মাণের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহের বিষয়টি জড়িত। তাই এলএনজি সরবরাহের চুক্তিটিও বাতিল হতে পারে বলে জানা গেছে। সামিটের সঙ্গে চুক্তিটি করা হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের অধীনে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, সামিটের দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
এ নিয়ে সামিট আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সোমবার সন্ধ্যায় চুক্তি বাতিলের নোটিশ পেয়েছে। এই সিদ্ধান্ত তাদের কাছে ন্যায়সংগত মনে হয়নি। তারা এর বিরুদ্ধে আপিল করবে।
দেশে গ্যাস উৎপাদন কমে আসায় ২০১৮ সাল থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এর জন্য সমুদ্রে দুটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। এর একটি সামিটের, অন্যটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির। আরও দুটি নতুন টার্মিনাল নির্মাণে ওই দুটি কোম্পানির সঙ্গে আলাদা দুটি চুক্তি হয়।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :