ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ শাস্তির আওতায় আসছে। শেয়ারহোল্ডারদেরকে বঞ্চিত করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যবসায় মুনাফার ৩০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে ৭০ শতাংশের বেশি মুনাফা রিটেইন আর্নিংসে রাখা হবে। যে কারনে কোম্পানিটিকে রেখে দেওয়া ওই মুনাফার উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে কর শাস্তি হিসেবে দিতে হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরোটার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার বিধান রাখা হয়।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৯.১৭ টাকা হিসাবে ১৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি এক টাকা হিসেবে মোট ১৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা মুনাফার ১০.৯০ শতাংশ। মুনাফার বাকি ১৬৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বা ৮৯.১০ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে রাখা হবে।
মুনাফার ৭০ শতাংশের বেশি রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে রিটেইন আর্নিংসে রাখতে চাওয়া ১৬৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার উপরে ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ১৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজকে।
এ কোম্পানিটির আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৮ শতাংশ মুনাফা বেড়েছে। এ কোম্পানিটির আগের অর্থবছরের ৭.৭৮ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুনাফা হয়েছে ৯.১৭ টাকা। তারপরেও আগের বছরের ৬০ শতাংশ লভ্যাংশকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কমিয়ে ১০ শতাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমানে ১৯৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৩.২৫ শতাংশ।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :