ঢাকা: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে আবারো ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দিনের শুরুতে দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৩৬ কোটি ডলার বা ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। একই দিনে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬২০ কোটি ডলারের ওপরে।
গত ডিসেম্বরে দেশের রিজার্ভ বেড়েছে ২৬২ কোটি ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় ও আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকায় রিজার্ভ বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত নভেম্বরের শেষ দিকে দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৮ কোটি ডলার ও গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে দেশের নিট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৬ কোটি ডলারও গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২০ কোটি ডলারের ওপরে। ফলে এক মাসের ব্যবধানে অর্থাৎ ডিসেম্বরে দেশের নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৬২ কোটি ডলার ও গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে ১৭৪ কোটি ডলার।
এর আগে গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধের পর নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৮৪৪ কোটি ডলারে নেমে আসে। তারপর থেকে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় থেকে ডলার রিজার্ভে যোগ হওয়ার কারণে আবার তা বেড়েছে।
এদিকে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আকুর গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের দেনা পরিশোধ করা হবে। তখন রিজার্ভ আবার কিছুটা কমে আসতে পারে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মাসে জুলাইয়ে রেমিটেন্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি ৪২ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৪০ কোটি ৪৮ লাক ডলার, অক্টোবরে সামান্য কমে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার ও নভেম্বরে আরও কমে ২২০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ডিসেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহে রেকর্ড গড়ে যায়। ওই মাসে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার। এদিকে রপ্তানি আয়ও বাড়তে শুরু করেছে।
বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক ঋণের স্থিতি কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলোর বকেয়া আমদানির দায়ও করতে শুরু করেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সমরকারের পতনের সময় আমদানি খাতে বিদেশ ব্যাংকগুলোর কাছে বকেয়া দায় ছিল ৩৭০ কোটি ডলার।
গত পাঁচ মাসে ৩৩০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এখন বকেয়া রয়েছে ৪০ কোটি ডলার। এগুলোও অচিরেই পরিশোধ করা হবে। পাশাপাশি নতুন কোনো আমদানির দায় বকেয়া রাখা হচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করা হচ্ছে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :