ঢাকা: এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধের পর দেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের (বিপিএম৬) কিছুটা নিচে নামলো। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
মুখপাত্র জানান, আজ আকুর দায় পরিশোধ ও সমন্বয় করা হয়। বর্তমানে দেশের রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ হিসাবে ২০ বিলিয়ন ডলার রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার পর্যন্ত নিট রিজার্ভ বা বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভে বিদেশি অনুদান যোগ হয়েছে। একইসঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এসব কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে।
আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে।
সর্বশেষ, নভেম্বর ও ডিসেম্বর দুই মাসের আকুর দায় বাবদ ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর আগে ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে। এর ফলে তখন রিজার্ভ কমে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম-৬) নেমে যায়। গত এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বুধবার ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ ও প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থেকে। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ডলারের চাহিদা মেটাতে নিজেদের মধ্যে লেনদেন বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপরও ডলারের চাপও কমে। যার ফলে আকুর বড় দায় পরিশোধের পরও রিজার্ভের বড় ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে না।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :