ছবি : প্রতীকী
ঢাকা: বাজারে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম কম থাকলেও চাল ও তেল নিয়ে অস্থিরতা গত কয়েক মাস ধরেই চলছে। এরমধ্যে চালের দাম কেজিপ্রতি ৪-৬ টাকা বেড়েছিল, যা এখন পাইকারি পর্যায়ে ১-২ টাকা করে কমতে শুরু করেছে। তবে বাজারে সয়াবিন তেলের যে সরবরাহ সংকট ছিল, সেটা এখনো কাটেনি বরং আরও বাড়ছে।
এদিকে সবজি, মুরগি, মাংস, ডিমের দাম বিভিন্ন সময় ওঠানামা করলেও মাছের দাম আগের মতো বাড়তিই রয়ে গেছে। অতিরিক্ত বাড়তি দামেই বাজারে সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। এতে করে মাছ কিনতে ক্রেতাদের অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে সয়াবিন তেলের দাম ও সরবরাহ সংকট। দেড় মাস আগেও এ ধরনের সরবরাহ সংকট তৈরি করেছিল কোম্পানিগুলো। এরপর সরকার কেজিপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা করে বাড়িয়ে দেয়। এরপর দু-এক সপ্তাহ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে আবারও সংকট তৈরি হয়েছে।
এদিকে, কিছু কোম্পানি তেলের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য কেনার শর্ত বেঁধে দিচ্ছে বলে খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন। অর্থাৎ কোম্পানির কাছ থেকে তেল নিতে গেলে বাধ্যতামূলকভাবে চাপাতা, আটা বা অন্য কোনো পণ্য অর্ডার দিতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, দেশের চালের মোকামগুলোতে চালের দাম সামান্য কমেছে। যার প্রভাবে রাজধানীর কিছু পাইকারি চালের দোকানে চালের দাম কমতে দেখা গেছে। তবে খুচরায় সেভাবে দাম কমা শুরু হয়নি এখনো। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই খুচরা পর্যায়েও চালের দাম কমবে।
এদিকে বাজারে পাঙাস, চাষের কই, তেলাপিয়া মাছের দাম তুলনামূলক কম থাকায় এগুলোরই বেশি চাহিদা থাকে। কিন্তু বর্তমান বাজারে এসব মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, শোইল মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পাঙাস প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, বড় পুঁটি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, টাকি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা এবং তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এএইচ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :